সভায় শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র
শক্তিপুর থানার বাজারসৌ রেল স্টেশন লাগোয়া মাঠে জনসভা হয়ে গেল বিজেপির। জনসভার মাঠ নিয়ে আগেই তরজা ছিল। প্রথমে এই সভা শক্তিপুর প্রতাপ সঙ্ঘের মাঠে হওয়ার কথা ঘোষণা করে বিজেপি। পরে সোমবারের সভার জন্য অন্য মাঠের কথা ঘোষণা করে। সেখানে বিজেপির অ়ন্য বক্তার সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সরকারে আসবে। এখানে সভা হবে এই ওসি ১৭ নয় ৩৪ টা মাইক লাগাবে আমি বক্তৃতা করব।’’ এ দিনের সভায় বলতে গিয়ে বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিন জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “পুলিশ রাত ১ টা ৩০ মিনিটে ফোন করে ১৭ টা মাইক খুলিয়েছে।’’ শক্তিপুরের ওসি অরিন্দম দাস কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
তিনি বলেন, ‘‘এই তৃণমূলের পঞ্চায়েতেই শেষ। চটিপরা পুলিশ, গেঞ্জিপরা পুলিশকে তোলামূল যে ভাবে প্রশ্রয় দিয়েছে, আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে পুনরায় ভোট লুট করতে দেওয়া হবে না। ভোট কাকে বলে গণতন্ত্র কাকে বলে মানুষ দেখবে। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের জন্য নতুন স্থগিতাদেশ এসেছে।’’ শুভেন্দুর কথায়, ‘‘তৃণমূল সিএএ নিয়ে মানুষের বিভাজন করছে। সিএএ আইন হলে কাউকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না। এটা সম নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন।’’ তিনি এদিন বলেন, ‘‘আবাস যোজনা সহ অন্যান্য দুর্নীতি করছে তৃণমলূ সরকার। তাই আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় নজরদারি দল আসছে। ১৪টি নতুন জেলায় এই দল খুঁটিয়ে অনুসন্ধান করবে তার মধ্যে মুর্শিদাবাদও আছে। আবাস যোজনায় বেলডাঙা ১ ব্লকের এক পঞ্চায়েত প্রধান ১৭ টা বাড়ি নিয়েছে বিভিন্ন নামে। নওদায় আবাস যোজনায় লুট চলছে। বাংলাদেশ সীমান্তের যত গ্রাম রয়েছে সেখানে বাসিন্দারা অনেক সমস্যায় রয়েছে। সীমান্তে গিয়ে তাদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হবে।’’
মুর্শিদাবাদের সাংসদ ও দলের জেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের খান বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর ভোটের আগে এক কথা বলেন, ভোটের পরে অন্য কথা। তার এই জেলায় কুকীর্তির কথা সকলে জানে। ফলে শুভেন্দু অধিকারি কী বললেন, তা নিয়ে বলার মতো কিছু নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy