উদ্ধার হওয়া মোটরবাইক। নিজস্ব চিত্র।
দিন কয়েক আগে চোরাই মোটরবাইক সহ ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিন কয়েক আগে হরিহরপাড়ার খলিলাবাদ গ্রামের রিপন শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭টি মোটরবাইক। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মোটরবাইক চক্রে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অধিকাংশ মোটরবাইক নতুন এবং অপেক্ষাকৃত দামি। অধিকাংশ মোটরবাইকের নম্বর প্লেট নেই। অনেক মোটরবাইকের ইঞ্জিন ও চেসিসের নম্বরের কয়েকটি সংখ্যা ঘষে দেওয়া হয়েছে।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বন্ধকীর নামে চলত চোরাইবাইক কেনাবেচা। মোটরবাইক চুরির পর একাধিক হাত ঘুরে সুদের কারবারিদের কাছে মোটরবাইক বন্ধক দেওয়া হত। দীর্ঘ দিন বকেয়া পরিশোধ না করায় সেই মোটরবাইক এলাকায় বিক্রি করে দিতেন সুদের কারবারিরা। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও জানতে পেরেছে, চক্রের সদস্যরা পরিচিতদের গ্রাহক সাজিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির শো-রুম থেকে মোটরবাইক কিনত। অল্প টাকা জমা করে বিভিন্ন ঋণদানকারী সংস্থার কাছে কিস্তির মাধ্যমে সেই মোটরবাইক কিনত চক্রের সদস্যরা। ওই মোটরবাইক সুদের কারবারিদের দিত। পরে ঋণ পরিশোধ না করায় সুদের কারবারিরা এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে দিত। অন্য দিকে গ্রাহকেরা ঋণদানকারী সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা করে ঋণ সংক্রান্ত বিষয় ‘মিটিয়ে’ নিত।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “মোটরবাইক বন্ধক রেখে সুদের কারবার চলত। চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মোটরবাইকের প্রকৃত মালিকদের খোঁজ চলছে। পাশাপাশি এই চক্রে আর কে বা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে।” সুদের কারবারিদের বিরুদ্ধেও যথাযথ পদক্ষেপ হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy