মুখে মাস্ক পরে কল্যাণী জেএনএম হাসাপাতালের স্টাফেরা। নিজস্ব চিত্র
সংশয়ের অবসান হল। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল, দোলে মায়াপুর ইস্কনে আসা দুই বিদেশি পর্যটকের কেউই নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। এঁদের অন্যতম এক অস্ট্রেলীয়ের লালায় যে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি, শুক্রবারই তা জানা গিয়েছিল। শনিবার জানা যায়, মালয়েশিয়া থেকে আসা অপর জনের লালাতেও ভাইরাস নেই।
গত বুধবার করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ইস্কনের ওই দুই বিদেশি ভক্তের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি-তে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে যে ভাবে চর্চা হচ্ছিল তা নিয়ে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইস্কন কর্তৃপক্ষ। দু’জনেরই রিপোর্টে ভাইরাস না-পাওয়ার কথা জেনে এ দিন তাঁরা ফের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন।
ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে নিয়ে দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে মন্তব্য করাই সমীচীন। না হলে বিভ্রান্তি বাড়বে।” আগের দিন ইস্কনের পিআরও ম্যানেজার অলয়গোবিন্দ দাস বলেছিলেন, দোলের আগে আট দিন ধরে নবদ্বীপ মহামণ্ডল পরিক্রমা করার কারণেই ওই দুজনের সাধারণ সর্দিজ্বর হয়েছে বলে তাঁদের অনুমান। তবে সন্দেহ হওয়া সত্ত্বেও জেলা স্বাস্থ্য দফতর যথেষ্ট সতর্ক না হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ দিন অলয়গোবিন্দ দাবি করেন, “আমরা জানতাম এমন ফলাফলই আসবে। হলও তা-ই। মাঝখান থেকে সাধারণের মধ্যে একটা আতঙ্ক ছড়াল। তার ফলে ইস্কনে ভক্ত সমাগম কমল। রবিবার থেকে চক্ষু চিকিৎসার একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তা-ও বন্ধ হয়ে গেল।” তিনি জানান, এমনিতে উচ্চ মাধ্যমিক চলায় জনসমাগম কম। তার উপরে করোনার কারণে বিদেশি ভক্তদের আসাও প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। তিনি বলেন “সামনেই ইস্কনের বড় উৎসব ব্যাসপূজা। আগামী ২-৫ মে ওই উৎসবে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা থেকে ভক্তদের আসার কথা ছিল। কিন্ত এই অবস্থায় কার্যত কেউই আসতে পারবেন না। তাঁদের বুকিং বাতিল হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy