ফাইল চিত্র।
অবশেষে শুরু হল জিয়াগঞ্জে সপরিবার শিক্ষক খুনের ঘটনায় সাক্ষ্যগ্রহণ। বুধবার শুরু হল সাক্ষ্যগ্রহণ। প্রথম দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় সপরিবার শিক্ষক খুনে অভিযোগকারী তথা বন্ধুপ্রকাশ পালের মাসির ছেলে বন্ধু কৃষ্ণ ঘোষের। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত (২)-এর বিচারক সাম্যদ্বীপ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রায় দেড় ঘন্টার বেশিক্ষণ ধরে চলে সওয়াল জবাব। এদিন আদালতে হাজির করা হয় সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনায় মুল অভিযুক্ত উৎপল বেহেরাকেও।
করোনা আবহে সংক্রমণ এড়াতে এদিন আদালত কক্ষে সরকারি ও উৎপলের আইনজীবী প্রথম সাক্ষী বন্ধু কৃষ্ণ ঘোষ ও উৎপল ব্যতীত অন্য কাউকে আদালত কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, বদল করা হয়েছে সরকারি পক্ষের আইনজীবীকে। আগে সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের আইনজীবী নবকুমার ঘোষ (যদিও এর আগে এই খুনের ঘটনায় কোনও শুনানিতেই উপস্থিত ছিলেন না নবকুমার ঘোষ)। এ বার সরকার পক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন উৎপলের আইনজীবী কৌশিক দে বলেন, ‘‘আজ থেকে ঘটনার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল। প্রথমে চার্জশিটের সাপ্লিমেন্টারি কপি আমাকে দেওয়া হয়নি। আমি বিচারকের কাছে আবেদন জানালে পরে তা দেওয়া হয়। আজ সওয়াল জবাব করা হয়েছে কৃষ্ণ ঘোষকে।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর বিজয়া দশমীর দিন দুপুরে নিজের বাড়িতে নৃশংস ভাবে খুন হন জিয়াগঞ্জের লেবু বাগানের বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পাল, তাঁর আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল ও ছয় বছরের ছেলে অঙ্গন পাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy