Advertisement
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Hilsa Fish

‘পুজোর শুভেচ্ছা’ অতীত, উৎসবের মরসুমে পদ্মার ইলিশ ঢুকবে না এ বাংলায়! সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের

হাসিনা পরবর্তী সময়ে ভারত-বিরোধী জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে ‘ইলিশ উপহার’ পাঠানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না ইউনূসের সরকার। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বছর অক্টোবরে তারা ইলিশ পাঠাবে না পশ্চিমবঙ্গে।

hilsa

পদ্মার ইলিশ। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৫
Share: Save:

জোগান কম হলেও উৎসবের মরসুমে ঠিকই বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ পৌঁছে যেত এ পার বাংলায়। কিন্তু চলতি বছরে সেই ‘ধারা’র পরিবর্তন হল। এ বার অক্টোবরে কোনও ইলিশ রফতানি হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকার। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতেই ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ এবং আনুকূল্যে এ পার এবং ও পার বাংলার যে ‘ইলিশ সৌজন্য’ শুরু হয়েছিল, তা বন্ধ হতে চলেছে এ বছর। বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদলের পর প্রতিবেশী দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘এ বছর ভারতে কোনও ইলিশ রফতানি হবে না।’’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এই ঘোষণার পরে দুর্গাপুজোর মরসুমে ইলিশ সরবরাহ নিয়ে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের পক্ষ থেকে ইলিশের রফতানিতে এই নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসাবে উঠে আসছে অভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা। যদিও নেপথ্যে ‘অন্য কারণ’ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের একটি সূত্রের খবর, হাসিনা পরবর্তী সময়ে ভারত-বিরোধী জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে ‘ইলিশ উপহার’ পাঠানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না ইউনূসের সরকার। তবে বাংলাদেশের ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা এ বারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার মুখে একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে আবার ইলিশ রফতানি শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থায়ী ভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। পাশাপাশি, দুর্গাপুজোর আগে শুভেচ্ছার ইঙ্গিত হিসাবে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের ফলে এ বার ইলিশের রসনা তৃপ্তির জন্য নির্ভর করতে হবে মায়ানমার এবং ওড়িশা থেকে আসা ‘রুপোলি শস্যের’ উপর। কলকাতার মাছ আমদানিকারক সমিতির সদস্য রঞ্জন সাহার কথায়, ‘‘মায়ানমার এবং ওড়িশা থেকে ইলিশ আমদানি ইতিমধ্যে ৩০ শতাংশ বেশি দামে আমদানি করা হচ্ছে।বাংলাদেশি ইলিশ না পাওয়া গেলে কলকাতা-সহ রাজ্যের বাজারে ইলিশের দাম আরও বাড়বে বলেই মনে করছি আমরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hilsa Fish Bangladesh India Durga Puja 2024
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE