আদালতে ব্রজ। নিজস্ব চিত্র
নদিয়ার কিশোরীর গণধর্ষণ-খুনের মামলায় ধৃত সাত জনের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিল বিশেষ পকসো আদালত। শুক্রবার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত সোহেল ওরফে ব্রজ গয়ালি এবং তার বাবা তথা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দু গয়ালি-সহ সাত জনকে রানাঘাট আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক সুতপা সাহা ধৃতদের ৩ জুন ফের হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তত দিন পর্যন্ত তাঁরা জেল হেফাজতেই থাকবেন।
গত ৪ এপ্রিল সমরেন্দুর বাড়িতেই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। রক্তক্ষরণের জেরে পরের দিন ভোরে সে মারা যায়। অভিযুক্ত পক্ষের অন্যতম আইনজীবী রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে প্রশ্ন তোলেন, “রক্তপাত হচ্ছিল এবং পরিবারের লোকেরা মদের গন্ধ পান বলে জানান। এটা অনার কিলিং নয়তো? এমন নয়তো যে বাবা-মা মারধর করেন?” তদন্তে অগ্রগতি নেই দাবি করে তাঁর যুক্তি, ঠিক ভাবে প্রমাণ করতে না পেরেই সিবিআই ভয় দেখানোর তত্ত্ব তুলে ধরছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী গোড়া থেকেই আদালতে সওয়াল করে আসছেন যে ধৃতেরা প্রভাবশালী। তাঁরা জামিনে ছাড়া পেলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন, সাক্ষীদের ভয় দেখাতে বা প্রভাবিত করতে পারেন। এ দিন সমরেন্দু ও ব্রজর আইনজীবী অপূর্ব বিশ্বাস দাবি করেন, ঘটনার পরে অনেক সময় পার হয়ে যাওয়ার পর (৯ এপ্রিল) অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেখানে প্রভাব খাটানো বা ভয় দেখানোর উল্লেখ নেই। ডাক্তারের দেওয়া ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়াই গ্রামের শ্মশানে মেয়েটির মৃতদেহ দাহ করা হয়েছিল। তাই প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও দায়ের হয়েছে। সৎকারের সময় নাবালিকার বাবা-সহ গ্রামের যাঁরা শ্মশানে হাজির ছিলেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি কেন, কেন সে বিষয়ে আদালতকে কিছু জানানো হয়নি সেই প্রশ্নও তোলা হয়।
স????????? ?????? মরেন্দ্ুর সঙ্গেই ধৃত, তাঁর বন্ধু পীযূষ ভক্তের আইনজীবী তমাল সরকার আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল গ্রামের সাধারণ কৃষক। তিনি কোনও অর্থেই প্রভাবশালী নন। কিন্তু বিচারক এই সব যুক্তিতে কর্ণপাত করেননি। জামিন নামঞ্জুর হয়।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নাবালক। তাকে আগেঅই হোমে পাঠানো হয়েছিল। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড তাকে হোমে রেখে ফের ৪ জুন হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy