গির্জার সাজ। নিজস্ব চিত্র
প্রতিবছর জিশুদিবস উপলক্ষে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা সংলগ্ন মুকুন্দবাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ক্যাথলিক চার্চ এবং একটি স্কুল চত্বর সেজে ওঠে। ফুলের জলসায় আর মেরি আর জিশুর প্রতিকৃতিতে ছেয়ে যায় আশপাশ। দিন কুড়ি আগে থেকেই রাস্তার দু’পাশ আর পাঁচটা মেলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই নানান দোকান পসারে সেজে উঠতে থাকে প্রতিবছর।
খেলনাপাতির দোকান থেকে শুরু করে নানা রেস্টুরেন্ট আর পাঁপড়, জিলিপি, খাজা-গজার দোকান, তার সাথে পাল্লা দিয়ে রংবেরঙের বেলুন, চুলের ফিতে আর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির পসার সাজিয়ে বসে আশপাশের গ্রাম থেকে আসা মানুষজন। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছে মানুষের আনাগোনা।
সাত দিন ধরে মেলা চললেও আগামী তিনদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের ভিড়ে চার্চ প্রাঙ্গণে পা রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। আজিমগঞ্জ ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জেভিয়ার লাকরা বলেন, ‘‘আজ থেকে নয় দিন আগে শুরু হয়েছে উৎসব। শনিবার রাত ন’টায় সেই উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এরপর শুরু হবে খ্রিস্টমাস উপলক্ষে মূল অনুষ্ঠান। রাত বারোটা পর্যন্ত চলবে সেই অনুষ্ঠান। নিয়ম-শৃঙ্খলার কারণে মূল অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের প্রার্থনা-কক্ষে প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়। সেখানে শুধুমাত্র খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের প্রবেশ অবাধ থাকে। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের কাছে ২৫ শে ডিসেম্বর সবচেয়ে বড় ধর্মোৎসব।’’
মুকুন্দবাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ জনপদই আদিবাসী সম্প্রদায় অধ্যুষিত। তাদের অনেকেই খ্রিস্টধর্মাবলম্বী হওয়ায় এই ক্যাথলিক চার্চ ঘিরে সমারোহ অনেককাল আগে থেকেই রয়েছে। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এই চার্চ এবং স্কুলের পরিবেশ। বিশাল প্রাচীর দিয়ে ঘেরা সুপ্রশস্ত এলাকায় সবুজ গালিচায় ঢাকা জমি যেমন আছে তেমন আছে সুইমিংপুল এবং প্রশস্ত প্রার্থনার স্থান। চার্চের অভ্যন্তরের পরিচিত নিস্তব্ধতা এবং পবিত্রতা নজর কেড়ে নেয়। বড়দিন উপলক্ষে এই চার্চকে কেন্দ্র করে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আবালবৃদ্ধবণিতার সমাবেশ একটি পূর্ণাঙ্গ উৎসবের রূপ নেয়। রংবেরঙের আলো আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে রংবেরঙের শীতপোশাকে সজ্জিত মানুষের ভিড় বড়দিনের সন্ধ্যাকে একটা আলাদা মাত্রা দেয়। আবাসিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি ছোট ছোট প্রতিকৃতির মাধ্যমে তুলে ধরা জিশুর জীবনকাহিনি এই চার্চের পরিসরে বড়দিনের মেলার প্রধান আকর্ষণ। গঙ্গা নদীর পূর্বপাড়ের অর্থাৎ জিয়াগঞ্জের বাসিন্দারাও দল বেঁধে নদী পেরিয়ে বড়দিনের মেলার আনন্দে গা ভাসায়। প্রায় সাত দিন ধরে চলে এ? ??????????ই মেলার র???েশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy