এখানেই পাওয়া গিয়েছে অস্ত্র।—নিজস্ব চিত্র।
সগুনার পর এ বার গয়েশপুর। এক মাসের মধ্যে ফের বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হল নদিয়া জেলা থেকে। শনিবার নদিয়া জেলার গয়েশপুরে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। গ্রেফতার করা হয়েছে আট জনকে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এ দিন সকালে গয়েশপুর পুরসভার ৭ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হানা দেন সিআইডি-র একটি বিশেষ দল। সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলে এই অভিযান। ওই দু’টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন ক্লাব, পরিত্যক্ত এবং নির্মীয়মান বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি নাইন এমএম পিস্তল, দেশি বন্দুক, তাজা বোমা এবং কার্তুজ।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধৃতেরা বেশির ভাগই শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত। তবে এই অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল। পুরপ্রধান মরনকুমার দে বলেন, “দুষ্কৃতীদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। সিআইডি তাদের কাজ করেছে। আইন আইনের পথেই চলবে।”
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গয়েশপুর পুরবোর্ডের দখল নেয় তৃণমূল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, ওই পুরসভায় বিরোধীরা নেই বললেই চলে। তৃণমূলই সেখানে শেষ কথা। কিন্তু পুরবোর্ড গঠনের পর থেকেই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে। প্রতিদিনই এলাকার দখল নিয়ে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোলমাল হচ্ছে। তার জেরে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ১২ অগস্ট ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দুষ্কৃতীদের দু’টি গোষ্ঠীর বোমাবাজিতে জখম হন সাত জন। এই ঘটনার সপ্তাহ তিনেক পর খুন হন সুব্রত দাস ওরফে বাবুসোনা নামে এক তৃণমূলকর্মী। গত ৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে মাথায় গুলি করে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জন দুষ্কৃতী। এই ঘটনার সপ্তাহ খানেক পরই সামান্য ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল শুরু হয় গয়েশপুর পুরসভার মিত্র কলোনিতে। মাঠের হাতাহাতি ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। মুড়ি-মিছরির মতো বোমাবাজি শুরু হয়। চলে গুলিও। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy