একশো কোটি টাকা পাচ্ছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাস। কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তার মধ্যে মুর্শিদাবাদ সহ তিনটি ক্যাম্পাসকে দেওয়া হচ্ছে ১০০ কোটি করে ৩০০ কোটি টাকা। বাকি ২০০ কোটি টাকা পাচ্ছে আলিগড়ের মূল ক্যাম্পাস। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসের জন্য ১০০ কোটি টাকা সেই অর্থে কিছুই নয়।
মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসের সহকারী রেজিস্ট্রার মহম্মদ আব্দুল হামিদ এই অর্থ বরাদ্দের কথা জানিয়ে রবিবার বলেন, “আমাদেরকে ১০০ কোটি টাকার বাজেট রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা তা পাঠিয়েও দিয়েছি। তাতে কাম্পাসে চালু যে তিনটি বিষয় রয়েছে, সেগুলির জন্য স্থায়ী ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছি। এ ছাড়াও কিছু নতুন বিষয় চালুর কথা বলেছি। যেমন বিএসসি (কৃষি) বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ বিএসসি (কৃষি) বিষয়টি কল্যাণী ও কোচবিহারে ছাড়া এ রাজ্যে কোথাও নেই। সে ক্ষেত্রে আমাদের ক্যাম্পাসের মধ্যে যে বিশাল পরিমাণ জমি রয়েছে সেগুলি কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারব।”
সহকারি রেজিস্ট্রার বলেন, “এ ছাড়াও কাজে লাগবে মৎস্য চাষেও। কারণ সরকার চায়ছে এখন নিজেরাই নিজেদের রাজস্ব সংগ্রহ করে স্বনির্ভর হোক সমস্ত প্রতিষ্ঠান। তার জন্য কিছু বেসিক খরচ এখান থেকে তুলতে হবে। প্রস্তাবে কিছু সেলফ ফাইনান্সিং কোর্সের কথা বলা হয়েছে।আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা দেশের মেধার নিরিখে ভর্তি করা হয়। সে ক্ষেত্রে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের ছেলেমেয়েরা অনেকেই সুযোগ পান না। সেলফ ফাইনান্সিং কোর্স তাঁদের অনেকটাই সাহায্য করবে। কোর্স ফি বাড়বে। পরীক্ষা মেধার ভিত্তিতে হলেও মেধার ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ কৃষি অধ্যুষিত জেলা হিসেবে স্থানীয় ছেলে মেয়েরা উপকৃত হবেন। যেমন এই ক্যাম্পাসে এমবিএ পড়ানো হয় ২০ হাজার টাকা ফি-তে। কিছু আসন সেলফ ফাইনান্সিং-এর জন্য সংরক্ষিত থাকলে অর্থ আনা সম্ভব হবে।”
তিনি জানান, আলিগড়ের মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসে জমির অভাব নেই। অভাব অর্থের। আলিগড়ের নিজস্ব কোর্সও রয়েছে শতাধিক। কাজেই কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সাহায্য পেলে ধীরে ধীরে মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাসে পড়াশোনার বিষয় বাড়াতে কোনও সমস্যা হবে না।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)