জখম মাইনুল শেখ। নিজস্ব চিত্র
ফের চলল গুলি। এবং এ বারেও নিশানায় তৃণমূলের এক নেতা। গত সোমবার সন্ধ্যায় কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূলের জাহাঙ্গির শেখ গোসাইডোবের বাড়িতে ফেরার সময়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে মারা যান। ওই ঘটনায় কান্দি থানায় ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তার প্রতিবাদে কান্দিতে গত শনিবার একটি ধিক্কার মিছিল বের করে কান্দি ব্লক তৃণমূল।
ওই ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় শনিবার রাতে গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে খড়গ্রাম থানার বালিয়া অঞ্চলের বালিয়াহাট গ্রামের রাস্তায়। এ বারে দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য ছিলেন তৃণমূলের বালিয়া বুথ কমিটির সহকারী সভাপতি মাইনুল শেখ। ঘটনার পরেই তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে ওই রাতেই কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়। সেখানে রবিবার সকালে প্রায় ছ’ঘন্টা ধরে অস্ত্রোপচারের পরে গুলি বের করা সম্ভব হয়েছে।
এ দিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এ দিন জাকের শেখ নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে। এ দিন ধৃত ব্যক্তিকে কান্দি এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে সরকারপক্ষের আইনজীবী শুভ্র মিশ্র জানান।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই গুলি চালনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। মূলত গ্রাম্য বিবাদের কারণেই ওই গুলি চালনার ঘটনা বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ধৃত জাকের শেখ বছর তিনেক আগে বালিয়া গ্রামের মসজিদ কমিটির সম্পাদক ছিলেন। সেই সময়ে মসজিদ তৈরি ও সংস্কারের নামে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল জাকেরের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা তার পরেই তাঁকে মসজিদ কমিটি থেকে সরিয়ে মাইনুলকে মসজিদ কমিটির সম্পাদক করেন। তখন থেকেই মাইনুলের প্রতি তাঁর বিদ্বেষ বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনার রাতে মাইনুল জমিতে সেচের জল দিয়ে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করে পর পর দু’টি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় মাইনুলের স্ত্রী বাহারুণ বিবি পুলিশের কাছে জাকের-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গুলি চালনার ঘটনায় শাসক দল দায় চাপিয়েছে কংগ্রেসের উপরে। খড়গ্রাম উত্তর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মফিজুদ্দিন মণ্ডল বলছেন, “লোকসভা ভোটে মাইনুলের নেতৃত্বে তৃণমূল বালিয়া বুথে জয়ী হয়েছিল। তার পর থেকেই কংগ্রেস আশ্রিত জাকের ও তার অনুগামীরা মাইনুলকে খুন করার পরিকল্পনা করে। ওই রাতে মাইনুলকে একা পেয়ে গুলি চালিয়েছে তাঁরা।”
পাল্টা খড়গ্রাম ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুস সালাম বলছেন, ‘‘ওই ঘটনায় কংগ্রেস কোনও ভাবে জড়িত নয়। দলের কোন্দলকে আড়াল করতে তৃণমূলের নেতারা কংগ্রেসের ভূত দেখেন। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সবটাই জানতে পারবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy