প্রতীকী চিত্র।
বোনের সঙ্গে খেলতে-খেলতে বাড়ি থেকে কর্পূরের মতো উবে গেল বালক। দেড় দিন বাদে তার খোঁজ মিলেছে জানিয়ে বিহারের সাহারসা থেকে ফোন এল আরপিএফের। নবদ্বীপের মালঞ্চপাড়া আমবাগান এলাকা আপাতত পাড়ার ছেলের এ হেন অদ্ভুত অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে তোলপাড়।
গত মঙ্গলবার বোনের সঙ্গে বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় খেলছিল বছর এগারোর আয়ুষ দেবনাথ। নবদ্বীপ হিন্দু স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আয়ুষ। তখন সন্ধে হব-হব। হঠাৎ বোন নিশা কাঁদো-কাঁদো মুখে এসে বাড়িতে জানায়, ‘দাদা নেই’!
নেই মানে? কোথায় গেল? কার সঙ্গে গেল? এ সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি ছোট্ট নিশা। এর পরই এলাকায় শোরগোল পরে যায়। আয়ুষের খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোক ও পাড়াপ্রতিবেশীরা। পাওয়া যায় না। তার বাবা মদনগোপাল দেবনাথ পেশায় মণ্ডপ নির্মাণ কর্মী। পুজোয় কাজের জন্য আলিপুরদুয়ারে গিয়েছেন। তাই বুধবার সকালেই পুলিশের দ্বারস্থ হন আয়ুষের মা কাকলি দেবনাথ।
বুধবার বিকেলে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন পান আলিপুরদুয়ারে কাজে যাওয়া আয়ুষের বাবা মদনগোপাল দেবনাথ। বিহারের সাহারসা স্টেশন থেকে নিজেকে আরপিএফের কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি জানান, আয়ুষ তাঁদের হেফাজতে আছে। তিনি যেন ছেলেকে নিয়ে যান। বাড়িতে এই খবর জানিয়ে মদনগোপালবাবু তড়িঘড়ি সাহারসার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন।
আয়ুষের মামা বাবুল পাল জানান, আরপিএফ থেকে তাঁদের জানানো হয়েছে, বুধবার দুপুরে আয়ুষ সাহারসা স্টেশনে ঘুরছিল। সেখানে এক জনের কাছে গিয়ে সে জানতে চায়, কী ভাবে পাটনা যাওয়া যাবে। বালককে দেখে সন্দেহ হওয়ায় সেই ব্যক্তি তাকে সাহারসা স্টেশনে আরপিএফের হাতে তুলে দেন। আয়ুষের থেকে তার বাবার ফোন নম্বর নিয়ে আরপিএফ তার বাবা সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পরিবার সূত্রের খবর, এমনিতে আয়ুষ দুরন্ত। একটু খামখেয়ালিও বটে। রাস্তাঘাটে কোনও কিছু দেখে ভাল লাগলে বা অবাক হলে কাউকে কিছু না-বলে পিছন পিছন চলে যাওয়ার ঘটনা আগে সে ঘটিয়েছে। এ বার সে রকম কিছু হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু কি ভাবে আয়ুশ বিহার পৌছালো, কার সঙ্গে গেল, কেন সে পটনা যাওয়ার চেষ্টা করছিল – এ সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
কাজে বেরিয়ে নিখোঁজ হলেন এক ব্যক্তি। বিশ্বজিৎ পাল নামে মধ্যবয়স্ক ওই ব্যক্তি এক রেস্তোরাঁর কর্মী ছিলেন। সোমবার সকালে কাজে বেরিয়েছিলেন। এর পর থেকেই তিনি বেপাত্তা। তাঁর বাড়ি নবদ্বীপ প্রতাপনগরের মাথাপুর রোডে। দেড় দিন ধরে খুঁজেও কোথাও সন্ধান না-পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নবদ্বীপ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন স্ত্রী তুলসী পাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy