পটবদলের পরেই অরবিন্দের কাছ থেকে দফতরের চাবি পাঠান আব্দুস সালাম। প্রতীকী ছবি
কৃষ্ণগঞ্জের পরে ক্ষমতার চাকা ঘুরল শান্তিপুরেও। বছর দুয়েক আগে যাঁকে শান্তিপুর শহর তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বুধবার সেই আব্দুস সালাম কারিগরকেই আগের পদে ফিরিয়ে আনল তৃণমূল। তাতে পুরপ্রধান অজয় দে-র শিবির বাড়তি অক্সিজেন পেল। সরিয়ে দেওয়া হল বিধায়ক-ঘনিষ্ঠ অরবিন্দ মৈত্রকে।
দু’বছর আগে এই অগস্টে মাসেই শান্তিপুর শহরে শাসক দলের ব্যাটন নিঃশব্দে হাতবদল হয়ে গিয়েছিল। বিধায়ক শঙ্কর সিংহ, তৎকালীন জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যদের উপস্থিতিতে ডাকঘর মোড়ে এক সভায় প্রকাশ্যে পুরপ্রধান অজয় দে-কে ‘হরিদাস পাল’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন জেলার এক নেতা। সেই সময়ে কিছুটা হলেও কোণঠাসা ছিলেন পুরপ্রধান। এর পরেই বদল করা হয় শহর সভাপতির পদ। অজয়-ঘনিষ্ঠ উপ-পুরপ্রধান আব্দুস সালাম কারিগরকে সরিয়ে সভাপতি করা হয় বিধায়ক অরিন্দমের ঘনিষ্ঠ অরবিন্দ মৈত্রকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ২৪টি ওয়ার্ড কমিটি বদলে দেওয়া হয়। শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের উল্টো দিকে কার্যালয়ের ‘শান্তিপুর তৃণমূল কংগ্রেস ভবন’-এর হাতবদল হয়। আর দফতরমুখো হয়নি পুরপ্রধানের শিবির। দফতরের নাম বদলে রাখা হয় ‘শান্তিপুর বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেস ভবন’।
এই দুই বছরে ভাগীরথী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। বদল হয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সময় থেকেই কার্যত সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে শঙ্কর আর অরিন্দমের। বছরের শুরুতেই শান্তিপুরে এক প্রকাশ্য সভায় অজয় দে-র নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কথা বলে গিয়েছিলেন। লোকসভা ভোটের পরে শঙ্কর দলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হন। আর শান্তিপুরে হারানো জমি পুনরুদ্ধারের লড়াই শুরু হয় পুরপ্রধানের শিবিরের।
এ দিন পটবদলের পরে অরবিন্দের কাছ থেকে দফতরের চাবি পাঠান আব্দুস সালাম। চাবি নিয়ে সন্ধ্যায় প্রচুর কর্মী-সমর্থক নিয়ে দফতরে যান তিনি। কিন্তু সেই চাবিতে দরজা খোলেনি। তাঁরা তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। অরবিন্দের ব্যাখ্যা, “ওটা শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দফতর। মূল দরজার চাবি বিধায়কের স্থির করে দেওয়া লোকেদের কাছে আছে। আমার কাছে ভিতরের ঘরের চাবি ছিল, তা দিয়েছি।”
পটবদল প্রসঙ্গে অরবিন্দের দাবি, “দলের তরফে আমাকে এখনও কেউ কিছু জানাননি। তবে আমি দলের অনুগত সৈনিক হিসাবেই কাজ করে যাব।” আব্দুস সালাম বলেন, “দল দায়িত্ব দিয়েছে। নেতৃত্বের নির্দেশেই কাজ করে যাব।” তবে এই রদবদল নিয়ে সে ভাবে মুখ খুলতে চাননি শান্তিপুরের বিধায়ক বা পুরপ্রধান কেউই। অরিন্দমের দাবি, “বিষয়টি জানা নেই।” অজয় বলেন, “এটা দলের সিদ্ধান্ত। আমরা সবাই দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করব।”
শঙ্কর সিংহ বলেন, “সামনে পুরভোট। তা সামনে রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবাই এক সঙ্গে পুরভোটে দলের জয়ের
জন্য ঝাঁপাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy