মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তাঁরা জরুরি বিভাগ ছাড়া কোথাও কাজ করছেন না। যার জেরে সোমবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগেও চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ ছিল। আর সেই বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে এসে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, চার ঘণ্টা ধরে রোগী সেখানে পড়ে থাকলেও চিকিৎসক না থাকায় তাঁর চিকিৎসা হয়নি। যার জেরে তাঁর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পিয়ারুল শেখ (৩৫)। তাঁর বাড়ি বেলডাঙার সুজাপুরের রাধাবল্লভপুরে। তাঁর জ্বর হয়েছিল। সেই সঙ্গে মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। বুকে ব্যথা হয়েছিল। সে কারণে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
যদিও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, তাঁর চিকিৎসাও হয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অনাদি রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক। তবে মৃতের পরিবারের লোকজন আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি। খুব খারাপ অবস্থায় এসেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসাও পেয়েছেন। তার পরে
মৃত্যু হয়েছে।’’
মৃতের বৌদি বিউটি বিবি জানান, রবিবার পিয়ারুলের জ্বর হয়েছিল। তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল। তাঁকে রবিবার রাতেই বেলাডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘‘সোমবার সকালে এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু হাসপাতালের কর্মীরা কখনও দোতলায় পাঠায় তো, কখনও চারতলায় পাঠায়। কিন্তু কোথাও ডাক্তারের দেখা পাইনি। ফলে বিনা চিকিৎসায় বহির্বিভাগেই আমার দেওরের মৃত্যু হয়েছে।’’
জরুরি বিভাগে নিয়ে যাননি কেন? মৃতের কাকা মহম্মদ বরুহানউদ্দিন বলেন, ‘‘আমরা জরুরি বিভাগেই ওকে প্রথম নিয়ে এসেছিলাম। সেখানে পিয়ারুলকে একটি ইঞ্জেকশন ও স্যালাইন দেওয়ার পরে বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাতে বলেন। ডাক্তার দেখার পরে ভর্তি করতে হবে কি না, ঠিক করবেন বলেছিলেন। কিন্তু বহির্বিভাগে কোনও ডাক্তার ছিলেন না। শেষ মূহূর্তে যখন ডাক্তার দেখেন, তখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তার যদি সময় মতো দেখতেন হয়তো এ ভাবে তার মৃত্যু হত না।’’
আর জি করে চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার আঁচ এসে পড়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে। শুক্রবার বিকেল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। প্রায় ১০০ জন জুনিয়র ডাক্তার রয়েছেন। তাঁরা জরুরি বিভাগ ছাড়া কোথাও কাজ করছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy