ক্রেতা নেই। মাঠের আখ দাঁড়িয়ে রয়েছে মাঠেই। অগত্যা বেলডাঙা বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা কম দামে স্থানীয় গুড় মিলের মালিকদের আখ বিক্রি করেছেন।
ভাগীরথীর তীরে বেলডাঙা ২ ব্লকে প্রায় হাজার দু’য়েক চাষি ১১০০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করেন। সাধারণত ফি বছর নভেম্বর মাসে স্থানীয় রামনগর সুগার মিল সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে আখ কেনে।
অভিযোগ, এ বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝিও মিল কর্তৃপক্ষ আখ কিনছেন না। উপায় না দেখে চাষিরা কম দামে ইতিউতি গজিয়ে ওঠা ‘বেআইনি’ গুড় মিল মালিকদের কম দামে আখ বেচছেন। স্থানীয় চাষি তাপস ঘোষ, সুখেন ঘোষ, লালচাঁদ শেখ, কেয়ামত শেখ, জয়দেব ঘোষেরা জানাচ্ছেন, চলতি বছরের অক্টোবরে আখ উঠেছে। সাধারণত, কুইন্ট্যাল প্রতি ২৩০ টাকা দরে সুগার মিল কর্তৃপক্ষ আখ কেনেন। এ বছর মিল কর্তৃপক্ষ সেই আখ না কেনায় অন্য জায়গায় কুইন্টাল প্রতি ১৬০ টাকায় আখ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
চাষিরা তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনকে। বেলডাঙা ২ ব্লকের সহকারি কৃষি অধিকর্তা তথাগত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সমস্যার জট কাটাতে কৃষক, গুড় মিল মালিক, কৃষি দফতর, কৃষি বিপণন দফতর, চিনি মিলের মালিকপক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হবে। সঙ্গে গুড়ের মিলগুলির বৈধতাও যাচাই করা হবে।’’
রামনগর সুগার মিলের জেনারেল ম্যানেজার ডি এল শর্মা বলেন, ‘‘চাষিদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। গত বছর ডিসেম্বরের ৪ তারিখ থেকে আখ কেনা শুরু হয়েছিল। এ বছর অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার জন্য দিন সাতেক দেরি হয়েছে। ২৩০ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে আখ কেনা শুরুও হয়েছে। গুড় মিলের মালিকরা ভুল বুঝিয়ে চাষিদের কাছ থেকে কম দামে আখ কিনছেন। আমরা ওই গুড় মিল মালিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy