দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হল এক কংগ্রেস কর্মীর। জখম হয়েছেন চার জন। মৃতের নাম রোয়াব শেখ (৩২)। বৃহস্পতিবার দুপুরে খড়গ্রামের রতনপুরের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোয়াব-সহ জনা দশেক মজুর স্থানীয় এক তৃণমূূল কর্মীর বাড়ি তৈরির কাজ করছিলেন। আচমকা একদল দুষ্কৃতী তাদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে তাদের নিয়ে যাওয়া হলে রোয়াবের মৃত্যু হয়। বাকিদের পরে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জখম ওই চার যুবক তৃণমূল সমর্থক বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিনের এই খুনের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।
রোয়াবের পরিবারের দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় সিপিএমের হয়ে ভোট প্রচার করেছিলেন রোয়াব। পরে লোকসভা ভোটের আগে সিপিএম ছেড়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। রোয়াবের নের্তৃত্বে রতনপুরের বুথে কংগ্রেস লিড পেয়েছিল। তারপর থেকেই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রোয়াবকে খুনের হুমকি দিত বলে অভিযোগ। রোয়াবের দাদা সারিউল শেখ বলেন, “ভাই সিপিএম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় ভাইকে ওরা গুলি করে খুন করেছে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।” সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সদস্য তথা খড়গ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ মণ্ডল বলেন, “সিপিএম কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করলে আসল ঘটনাটা সবাই জানতে পারবে।”
মৃতের পরিবার সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও কংগ্রেস অবশ্য ওই ঘটনার জন্য তৃণমূূলকেই দায়ী করেছে। খড়গ্রামের বিধায়ক কংগ্রেসের আশিস মার্জিত বলেন, “রোয়াবের নের্তৃত্বে ওই এলাকায় কংগ্রেস শক্তিশালী হচ্ছিল। রোয়াব কংগ্রেস করুক সেটা তৃণমূল চাইছিল না। রোয়াব তৃণমূলের সমর্থকের বাড়িতে কাজ করছিল সেটাও তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী মেনে নিতে পারেনি। সেই কারণেই পরিকল্পিত ভাবে বোমা-গুলি ছুড়ে রোয়াবকে খুন করা হয়েছে।”
গোষ্ঠীকোন্দলের কথা উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের খড়গ্রাম ব্লক কমিটির কার্যকরী সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, “জখম চারজন আমাদের সমর্থক। ফলে এসব কথার কোনও মানেই হয় না।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy