অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে অমিত শাহ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। জানিয়ে দিলেন, রাজনীতির মানুষ নন তিনি। সঙ্গীতই তাঁর ধ্যানজ্ঞান, দল। শিল্পীর কথায়, "আমি মিউজিক পার্টির লোক।"
শুক্রবার অজয় চক্রবর্তীর গানের স্কুল শ্রুতিনন্দনে যান অমিত। সঙ্গে রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাও ছিলেন। শ্রুতিনন্দনের ছাত্রছাত্রীরা সেই সময়ে গানও পরিবেশন করেন। অমিত শুক্রবার তাঁর গানের স্কুলে পা রাখার আগে থেকেই নানা জল্পনা সামনে আসতে শুরু করে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি গেরুয়া শিবিরের হাত ধরবেন কি না, প্রশ্ন ওঠে তা নিয়েও। অমিত তাঁর বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজনীতির মানুষ নই। আমার দল মিউজিক পার্টি। আমি সঙ্গীত জগতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে গান শেখার চেষ্টা করেছি। এখনও শিখে চলেছি। আমার কাছে অন্য কোনও বক্তব্য নিয়ে কখনও কেউ আসেন না। আমি যা কাজ করি, তা গান সংক্রান্তই করি।’’
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাড়িতে এসে দেখা করে গিয়েছেন। তাতে আনন্দিত হলেও, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন অজয় চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম সবার সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক আমার। মনমোহন সিংহের সঙ্গে অত্যন্ত কাছের সম্পর্ক ছিল। বুদ্ধবাবু, জ্যোতিবাবুও আমার বাড়িতে এসেছেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর এখনও আসা হয়ে ওঠেনি। তবে ওঁর সঙ্গেও ভাল যোগাযোগ রয়েছে আমার।’’
আজ কলকাতায় পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সাথে আমার দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে। তিনি তাঁর কণ্ঠ ও বাদ্যযন্ত্রের সাথে সংগীতের জগতে দীপ্তমান। তিনি গুরু-শিষ্য পরম্পরার ঐতিহ্যের উপর জোর দিয়েছেন এবং তাঁর শিষ্যরাও সঙ্গীত জগতে আশ্চর্য অবদান রেখেছেন। তাঁর এই অবদান দেশের জন্য গর্বের বিষয়। pic.twitter.com/UEkK7pUQyc
— Amit Shah (@AmitShah) November 6, 2020
অমিত শাহের টুইট।
আরও পড়ুন: সৌরভ বা শুভেন্দু? পদ্মের মুখ নিয়ে রহস্য বাড়ালেন অমিত
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে বাড়ছে মেট্রোও, অফিস টাইমে ৭ মিনিট অন্তর চলবে
অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে সাক্ষাতের পিছনে রাজনীতি খোঁজা ঠিক হবে না বলে জানিয়েছে বিজেপিও। তাঁদের দাবি, সমাজের একজন বিশিষ্ট মানুষ হিসেবেই পণ্ডিতজির সঙ্গে দেখা করেন অমিত। অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে এ দিন টুইটারে অমিত লেখেন, ‘আজ কলকাতায় পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সাথে আমার দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে। তিনি তাঁর কণ্ঠ ও বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গীতের জগতে দীপ্তমান। তিনি গুরু-শিষ্য পরম্পরার ঐতিহ্যের উপর জোর দিয়েছেন এবং তাঁর শিষ্যরাও সঙ্গীত জগতে আশ্চর্য অবদান রেখেছেন। তাঁর এই অবদান দেশের জন্য গর্বের বিষয়’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy