—ফাইল চিত্র।
রেলের একটি কমিটির সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ৭০ লক্ষ টাকা প্রতারণার এবং জালিয়াতির মামলায় চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিল পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে আলিপুর আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেয় লালবাজারের সহকারী কমিশনার পার্থপ্রতিম দাসের নেতৃত্বাধীন সিট। চার্জশিটে এক অভিযুক্তকে পলাতক দেখানো হয়েছে। ওই মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে এফআইআরে নাম রয়েছে প্রাক্তন রেল মন্ত্রী এবং অধুনা বিজেপির সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের। পুলিশের দাবি, তদন্তে মুকুলের ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। অভিযুক্তদের মোবাইল-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের ফরেন্সিক রিপোর্ট এলেই ঠিক হবে মুকুলের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হবে কি না। তবে মুকুলের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। এ দিন পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিটে নাম রয়েছে, বাবান ঘোষ, রাহুল সাউ, সাদ্দাম হোসেন আনসারি এবং কামাল হোসেন আনসারির। এরা মুকুলবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। প্রথম তিন অভিযুক্ত গ্রেফতারের পর এখন জামিনে রয়েছেন।
গত বছর জানুয়ারিতে সরশুনার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় সরশুনা থানায় অভিযোগ করেন, ২০১৫ ও ২০১৬-য় কয়েক দফায় রেলের একটি কমিটির সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে মুকুল রায়-সহ বিজেপি নেতা বাবান ঘোষ, সাদ্দাম আনসারিরা তাঁর কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা আদায় করছেন। যার ভিত্তিতে মুকুল রায়-সহ চার জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয় সরশুনা থানায়। পুলিশ জানায়, বিজেপি নেতা বাবান ঘোষ, সাদ্দাম আনসারিকে ওই বছর অগস্ট মাসে গ্রেফতার করে তদন্তকারী দল। মুকুল রায়কে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। আইনজীবীদের একাংশের মতে, সরশুনা কাণ্ডের মতোই কয়েক সপ্তাহ আগে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় সিআইডির চার্জশিটেও মুকুল রায়কে পরোক্ষভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy