বীরভূমে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক যুবতী এবং তাঁর দুই শিশুসন্তানের। জেলার মহম্মদবাজার ও মল্লারপুর থানার সীমানায় রয়েছে ম্যানেজারপাড়া। সেখানে লক্ষ্মী মাড্ডি (২৫) তাঁর দুই সন্তান রূপালি (১০) এবং অভিজিৎ (৮)-কে নিয়ে থাকতেন। শুক্রবার সকালে তাঁদের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই তিন জনকে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে খুনের বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশও। কারণ তিন জনের মাথাতেই রয়েছে গভীর আঘাতের চিহ্ন। খুনিদের গ্রেফতার করা না-হলে দেহ উদ্ধার করতে দেওয়া হবে না বলে জানান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে দেহ উদ্ধার করে। সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার (এসপি) আমনদীপ স্থানীয়দের জানান, আগে দেহ উদ্ধার করতে দেওয়া হোক। তার পর তদন্ত শুরু করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করার আশ্বাস দেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে ওই তিন জনকে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর স্বামী লাল্টু কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকেন। তাঁকে পুলিশের তরফে খবর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, শুক্রবার সকালে ঘরের খাটিয়ার উপরে পড়ে ছিল লক্ষ্মী নামের ওই যুবতী এবং তাঁর এক সন্তান রূপালির কম্বল জড়ানো দেহ। আর খাটিয়ার নীচে পড়ে ছিল লক্ষ্মীর আর এক সন্তান অভিজিতের দেহ।