ছয় কিলোমিটারের ব্যবধানে দিল্লিতে পর পর দু’টি খুনের ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। প্রথমে তদন্তকারীরা মনে করেছিলেন দু’টি ঘটনার কোনও যোগসূত্র নেই। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজই সেই যোগসূত্র ধরিয়ে দিল। সেই ফুটেজের সূত্র ধরে ঘটনার ১৩ ঘণ্টার মধ্যেই পাঁচ কিশোরকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিউ অশোকনগর থেকে পুলিশের কাছে ফোন আসে বুধবার রাত ৩টের সময়। জল বোর্ড ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাছে এক ব্যক্তি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যখন ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো ব্যবস্থা করছিল, তখন তারা দেখে দুর্ঘটনা নয়, ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
তদন্তকারী আধিকারিক অভিষেক ধানিয়া সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘যখন আমাদের দল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাছে পৌঁছয়, তারা দেখে কোন্ডলি সেতু এবং ডাল্লুপুরার মাঝে রাস্তায় রক্ত লেগে আছে।’’ তিনি আরও জানান, পুলিশ যখন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সূত্র খোঁজার চেষ্টায় ব্যস্ত, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের কাছে আবার ফোন আসে গাজ়িপুরের পেপার মার্কেট এলাকায় একটি মদের দোকানের পিছনে এক ব্যক্তির দেহ পড়ে আছে। ঘটনাচক্রে, প্রথম ঘটনাস্থল থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে দ্বিতীয় ঘটনাস্থল। ফলে নিউ অশোকনগর থেকে পেপার মার্কেট এলাকা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে পুলিশ। আর সেই ফুটেজ পরীক্ষা করতেই স্তম্ভিত হয়ে যান তদন্তকারীরা। নিউ অশোকনগর এলাকায় যে ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়, সেই ব্যক্তিকে কয়েক জন কিশোরকে কোপাতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাচক্রে, পেপার মার্কেট এলাকাতেও ওই কিশোরদেরই দেখা গিয়েছিল। ফলে দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও না কোনও যোগসূত্র রয়েছে এটা ধরে নিয়েই তদন্ত এগোতে থাকে পুলিশ। ১৩ ঘণ্টা করে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, দু’টি ঘটনার সঙ্গেই যোগ রয়েছে পাঁচ কিশোরের।