রিয়া দে এবং রমা দে।
নিউ ব্যারাকপুর ও হলদিয়া: ফেসবুক প্রোফাইল বলছে, মেয়েটির নাম আয়েশা দে। কিন্তু এলাকায় তিনি কোথাও পরিচিত রিয়া নামে, কেউ আবার তাঁকে চিনতেন জেসিকা নামে!
মা-মেয়ের জীবনযাপন ছিল বিলাসবহুল। অথচ তাঁরা কী কাজ করতেন, সে সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতেন না এলাকাবাসী।
উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা, ওই মা-মেয়ের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে হলদিয়ায় হুগলি নদীর পাড়ে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন যুবকের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে তা দেখিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করতেন মা। ওই কাণ্ডের জেরেই দু’জনকে খুন হতে হয়েছে হলদিয়ার যুবক শেখ সাদ্দামের হাতে। এই সব তথ্য সামনে আসার পরেই অবাক ওই দু’জনের নিউ ব্যারাকপুরের ভাড়া বাড়ির মালকিন সন্ধ্যা দাশগুপ্ত।
নিউ ব্যারাকপুর পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তরুণী আরও ছ’টি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি এবং তাঁর মা মুম্বইয়ে থাকতেন। বছর তিনেক আগে তাঁরা আসেন নিউ ব্যারাকপুরে। সেখানে থানার কাছেই এন সি সরণিতে একটি দোতলা বাড়ির নীচে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। বাড়ির দোতলায় থাকেন মালকিন সন্ধ্যাদেবী।
সন্ধ্যাদেবী সোমবার জানান, রীতিমতো চুক্তিপত্রে সই করে বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই সময়ে মহিলা তাঁকে জানিয়েছিলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হয় না। স্বামী থাকেন মুম্বইয়ে। এখানে মা-মেয়ে দু’জনে কাজ করেন। সন্ধ্যা সোমবার বলেন, ‘‘ওঁরা নিজেদের মতো থাকতেন। কী কাজ করতেন জানি না। পুলিশকে বাড়ি ভাড়ার চুক্তির নথি দিয়েছি।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, মা-মেয়ে কেউই পানশালায় নাচগান বা প্রত্যক্ষ ভাবে যৌন ব্যবসায় জড়িত ছিলেন না। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মূলত ফেসবুকের মাধ্যমেই তাঁরা বিভিন্ন যুবকের সঙ্গে আলাপ জমাতেন। পরে তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হলে সুযোগ বুঝে ব্ল্যাকমেল করতেন। মা-মেয়েকে খুনে ধৃত সাদ্দাম এবং শেখ মনজুর আলমের ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনায় ধৃত সাদ্দামের দাদা বলেন, ‘‘ভাই যে খারাপ সংসর্গে পড়েছে, তা জানতাম। কিন্তু এই ঘটনায় অবাক হয়ে গিয়েছি। লোকমুখে শুনেছি, ভাইকে টাকার জন্য চাপ দেওয়া হত।’’ আর মনজুরের পরিবারের দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সে এই ধরনের কাজ করতেই পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy