Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
money

coupons: কুপন ছাপিয়ে টাকা ‘আদায়’, অভিযুক্ত নেতা

ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের ৩ নম্বর ব্লক সভাপতি তথা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিপুল সাহা রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।

এ ভাবেই কুপন ছাপিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

এ ভাবেই কুপন ছাপিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২১ ০৪:৫৪
Share: Save:

দুর্গাপুর স্টেশন লাগোয়া বাসস্ট্যান্ডে পরিষেবা দেওয়ার নাম করে বেআইনি ভাবে কুপন ছাপিয়ে বাস, অটো, টোটোর কাছ থেকে টাকা তোলা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ করছেন চালকদের একাংশ। ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের ৩ নম্বর ব্লক সভাপতি তথা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিপুল সাহা রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিপুল।

স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ, ‘বাসস্ট্যান্ড পরিচালন সহায়ক কমিটি’র নামে পাঁচ-ছ’টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, ‘দুর্গাপুর সাব ডিভিশন বাস ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইএনটিটিইউসি)’-এর নামে কুপন ছাপিয়ে তোলা হচ্ছে চার টাকা করে। এর জেরেই বিতর্ক। কারণ, বাসস্ট্যান্ডে পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব পুরসভার। বর্তমানে পুরসভার তরফে কোনও সংস্থাকে সে দায়িত্ব দেওয়া নেই। ওই বাসস্ট্যান্ডে গড়ে প্রায় তিনশো মিনিবাস ও বড় বাস আসে। প্রচুর অটো ও টোটো রয়েছে। চালকদের একাংশের অভিযোগ, “প্রতিটি গাড়ি থেকেই টাকা নেওয়া হয়। আমাদের বলা হয়, বাসস্ট্যান্ড সাফাইয়ের জন্য নেওয়া হচ্ছে।”

কারা রয়েছেন এই কাজের নেপথ্যে? বৃহস্পতিবার মিনিবাস থেকে টাকা আদায় করছিলেন দীপক রজক। তিনি বলেন, “পাঁচ টাকা করে নেওয়া হয়। পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে তা নেওয়া হয়। তা ছাড়া, কাউন্সিলর শিপুল সাহাও রয়েছেন। আমাদের এই কাজ করার জন্য মাইনে দেওয়া হয়।” ঘটনাচক্রে, বাসস্ট্যান্ডে খোঁজ নিয়েও, কোনও ‘কমিটি’র সন্ধান মেলেনি।

পুরসভার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “কাউন্সিলর শিপুল সাহার নেতৃত্বে এই কাজ চলছে বলে জেনেছি। পরিষেবা দেওয়ার নাম করে বেআইনি ভাবে কয়েকশো গাড়ি থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার টাকা করে তোলা হচ্ছে। এই বিপুল টাকার কোনও হিসেব নেই। সরকারি খাতে এই টাকা জমা পড়ছে না। কোথায় জমছে কাউন্সিলর জানেন।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “সারা রাজ্যে এ ভাবেই লক্ষ লক্ষ টাকা ‘তোলা’ তোলে তৃণমূল। দুর্গাপুরও ব্যতিক্রম নয়।”

অভিযোগ উড়িয়ে শিপুল জানান, পুরসভার তরফে সাফাই করার জন্য কোনও দরপত্র ডাকা হয়নি। তাই বাসস্ট্যান্ড সাফাই করা, মাইকিং করা-সহ অন্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রতিদিন ১৫-১৬ জন কর্মী কাজ করেন। তিনি বলেন, “তাঁদের সংসার আছে। তাঁদের মাইনে দিতে হয়। সে জন্য যানবাহনের কাছ থেকে সামান্য অর্থ আদায় করা হয়। যাঁরা আমার ব্যক্তিস্বার্থের কথা বলছেন, তাঁরা মিথ্যা কথা বলছেন।” কিন্তু পুরসভা যেখানে দরপত্র ডাকেনি, সেখানে তাঁর এই ভূমিকা কেন? শিপুলের দাবি, “মানুষের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ।”

অন্য বিষয়গুলি:

money
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy