সেই ‘মোমো’-র ছবি, যা দ্রুত ছড়াচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে।
মৃত্যুর ইচ্ছা প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন এক ছাত্রী। আর তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে হাজির স্বয়ং মারণ গেম মোমো! সোমবার হোয়াটসঅ্যাপে এমন মেসেজ পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন জলপাইগুড়ির এক কলেজ ছাত্রী। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
আত্মহত্যার প্ররোচণা দেওয়া এই গেমটি সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ছে। যার নাম ‘মোমো চ্যালেঞ্জ সুইসাইড গেম’। ইতিমধ্যেই তার শিকার হয়েছে আর্জেন্টিনার ১২ বছরের একটি কিশোরী। এর পরেই মার্কিন যুক্তরাস্ট্র, মেক্সিকো, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলোয় এই গেম নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতেও এর আক্রমণ হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। তবে এই প্রথম এ দেশে হোয়াটসঅ্যাপ মোমো ছড়িয়ে পড়ার কথা সামনে এল।
পুলিশ সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ওই কিশোরী প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সোমবার বাড়িতে বোনের সঙ্গে তাঁর ঝগ়ড়া হয়। এই নিয়ে বাড়িতে বেশ ঝামেলা হয়। তাঁর মা-ও তাঁকে চড় মারে বলে পুলিশকে ওই কিশোরী জানিয়েছেন। এতে মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েন ওই কিশোরী। নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে কান্নাকাটি করতে থাকেন। নেহাত মন খারাপের কারণেই তিনি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস লেখেন, ‘আমি মরে যাবো’।
আরও পড়ুন: নিউটাউন থানায় আটক সঙ্গীদের ছাড়াতে সিভিক পুলিশকে অপহরণ করল বাইকবাজরা!
কিশোরীর অভিযোগ, এর তিন মিনিটের মধ্যেই তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে +1(251)999-5451 নম্বর থেকে একটি মেসেজ আসে। নিজেকে মোমো বলে পরিচয় দেয় ওই নম্বর। কিশোরীও পাল্টা হোয়াটসঅ্যাপ করে জানতে চান যে সে কে? তাতে ইংরেজিতে উত্তর আসে, ‘ইটস্ মাই নেম/ শ্যাল উই প্লে অ্যা গেম’ অর্থাৎ এটা আমার নাম... আমরা কি একটা গেম খেলব।
পুলিশ জানিয়েছে, আচমকা এমন প্রত্যুত্তর পেয়ে ঘাবড়ে যান ওই কিশোরী। এর পর কথোপকথন আর বাড়াননি। নম্বরটি ব্লক করে দেন। পর দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার কলেজের এক দিদির সঙ্গে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই কিশোরী বলেন, ‘‘ইন্টারনেটেই দেখি ‘মোমো’ গেম খেললে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়। খেলতে রাজি না হলে হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে ব্ল্যাকমেল করা হয়।’’
সাইবার সেলের ওসি সুনন্দা সোনার জানান, এই প্রথম জেলায় ‘মোমো’ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ল। পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রী ‘মোমো’র ফাঁদে পা না দিয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়ে বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন। এমন মেসেজ পেলে পেলে থানায় জানানোরই পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশকর্তারা। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার অফিসার বিশ্বাশ্রয় বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy