উত্তরাখণ্ডের লামখাগায় চলছে উদ্ধারকাজ। শনিবার। ছবি: টুইটার
একটি পা ক্ষতিগ্রস্ত। তুষারঝড়ের কবলে পড়ে শরীরেও ক্ষত হয়েছে। তবে মৃত্যুকে একেবারে কাছ থেকে দেখায় মিঠুন দাড়ির মনের ক্ষত সম্ভবত আরও গভীর। তাও উত্তরকাশী হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই বারবার তিনি জিজ্ঞাসা করছেন, ‘‘ওরা কেমন আছে?’’
‘ওরা’ অর্থাৎ রিচার্ড মণ্ডল এবং সুখেন মাঝি। বাকিদের পরিণতি জানলেও মিঠুনকে রিচার্ডের মৃত্যুর কথা জানানো হয়নি। সুখেন অবশ্য এখনও নিখোঁজ।
মিঠুনের দাদা মনোজ জানিয়েছেন, কয়েক বার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। সহোদরের গলায় আতঙ্ক টেরও পেয়েছেন তিনি। ভাইকে ফেরানোর তোড়জোড়ও করছেন মনোজ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সূত্রের খবর, মিঠুনকে কলকাতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
লামখাগা পাস ট্রেক করতে গিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েন মিঠুন এবং তাঁর সঙ্গীরা। বরাতজোরে বেঁচে যান মিঠুন এবং পোর্টার দেবেন্দ্র চৌহান। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন সেনাকর্মীরা।
বিষ্ণুপুর ১ নম্বর বিডিও অফিসের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী মিঠুনের ট্রেকিংয়ের নেশা ছিল। এর আগেও ট্রেকিং করেছেন তিনি। ওই ব্লকের বিডিও সুবীর দণ্ডপাট নিজেও ট্রেকিং করেন। মিঠুনকে তিনিও উৎসাহ জোগাতেন। সুবীরবাবু বলেন, ‘‘আমি নিজেও ট্রেকিং করতাম। মিঠুন খুবই উৎসাহী হওয়ায় আমি উৎসাহ দিতাম।’’ হাসপাতালে থাকা মিঠুনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন তিনিও।
মিঠুনের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া দেবেন্দ্র অবশ্য হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আচমকা তুষারঝড়ের তাণ্ডবে সব এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। ঝড়ের মধ্যে মিঠুনের হাত আঁকড়ে ছিলাম। দু দিন পরে সেনার নজরে আসি।’’ কী ভাবে ওই বিপদ থেকে বেঁচে ফিরলেন, তা এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারছেন দেবেন্দ্র। হাসপাতাল ছাড়া পাওয়ার আগে মিঠুনের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসকেরা অনুমতি দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy