স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সকালে ঝোপঝাড় থেকে গায়ে কাদামাটি মাখা এবং আহত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে শিশুটিকে বেরিয়ে আসতে দেখেন এলাকার লোকজন। প্রতীকী ছবি।
বছর দশেকের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে রায়গঞ্জে আটক শিশুটির এক প্রতিবেশী কিশোর। অভিযোগ, শনিবার সাতসকালে ওই শিশুটিকে ঝোপঝাড়ে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এলাকার ওই নাবালক। এই ঘটনায় রায়গঞ্জ মহিলা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা-সহ শিশুটির পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৬-১৭ বছরের স্থানীয় এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের কাছে ওই শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে পাড়ার বাজারে মেয়েকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের ঝোপঝাড়ে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। নাবালিকার বাবা বলেন, ‘‘মেয়েকে সকালে বাজারে পাঠিয়েছিলাম। সেখানেই ধরে নিয়ে যায় ওকে। ওর সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। নেশা-মদ-সাট্টা-গাঁজার আড্ডায় ওই ছেলেটি থাকত। এ সব আড্ডা বন্ধ হোক। আর ওই ছেলেটির শাস্তি চাই।’’
স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সকালে ওই স্কুলের ঝোপঝাড় থেকে গায়ে কাদামাটি মাখা এবং আহত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে শিশুটিকে বেরিয়ে আসতে দেখেন এলাকার লোকজন। ওই অবস্থায় শিশুটিকে তার বাড়িতে নিয়ে গেলে সব কথা খুলে বলে সে। শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রতিবেশী কিশোরের নির্যাতনের কথা জানিয়ে দেয় ওই নাবালিকা। সুশান্ত মণ্ডল নামে এক প্রতিবেশীর দাবি, ‘‘আমার বাড়ির থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে বাচ্চাটির বাড়ি। আমি বাচ্চাটাকে দেখেছি। ওকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, জানি না। তবে বাচ্চাটির চোখের উপরে-নীচে লাল হয়েছিল। কাদামাখা গায়ে কাঁদছিল ও। সেই সঙ্গে ওর গোটা শরীরটা কাঁপছিল। এ রকম ঘটনা যে আমাদের এলাকায় ঘটেছে, তা বিশ্বাসই হচ্ছে না।’’
ধর্ষণের অভিযোগের কথা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। অভিযুক্তকে আটকে রাখেন এলাকার বাসিন্দারা। এর পর শিশুটিকে নিয়ে তার মা-বাবা-সহ প্রতিবেশীরা রায়গঞ্জ মহিলা থানায় যান। সেখানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। ঘটনাস্থলে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকায় গিয়ে প্রথমে কিশোরকে না পেলেও খোঁজাখুঁজি করার পর অভিযুক্তকে আটক করে তারা। রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy