চলছে সম্মেলন। কৃষ্ণনগরে।
শিল্প সমন্বয় সম্মেলনে এসে কর্মসংস্থানের জন্য কচুরিপানার সামগ্রী তৈরি করে বিক্রির পরামর্শ দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর বক্তব্য, এই শিল্পের জন্য কাঁচামাল কিনতে হবে না। কচুরিপানা জল থেকে তুলে শুকিয়ে বিক্রি করলেই কেজি প্রতি ২৫ টাকা পাওয়া যেতে পারে।
মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি দফতরের পক্ষ থেকে শিল্প সমন্বয় সম্মেলনে (সিনার্জি) আয়োজন করা হয়েছিল। নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রশাসন ও শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী। সম্মেলনে পশুপালন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ কচুরিপানার সামগ্রী তৈরির পরামর্শ দেন।
পরে সাংবাদিকদের স্বপনবাবু বলেন, “আমরা দীর্ঘ দিন ধরে খাল-বিল উৎসব করে আসছি। বিভিন্ন জায়গায় যে বিরাট বিরাট জলাশয় আছে সেখানে প্রচুর কচুরিপানা জন্মায়। মাছ বড় করতে গেলে জলাশয় থেকে কচুরিপানা সরাতে হবে। আমাদেরই ওখানকার একটা ছেলে কচুরিপানা দিয়ে নানা সামগ্রী তৈরি করতে শুরু করেছে।” তিনি জানান, কচুরিপানা দিয়ে গয়নার বাক্স, ফল রাখার পাত্র, টেবিলের উপরে গরম জিনিস রাখার ম্যাট তৈরি করা যায়। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কচুরিপানা তুলে শুকিয়ে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা সম্ভব। তা দিয়ে নানা সামগ্রী তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে অনেক স্বনির্ভর হতে পারেন।
স্বপনবাবু জানান, বেসরকারি ভাবে খাল-বিল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সেই কচুরিপানা কিনে নেবে। তিন মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা প্রশিক্ষণ নেবেন তাঁদের দিয়ে সামগ্রী বানানোর ব্যবস্থা হবে। মন্ত্রী বলেন, “এর পর সরকারকে বলব, এদের জন্য যদি কিছু করার থাকে তো করো।” তবে তাঁর পরামর্শ শুনে সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের অনেকেই হতাশ। তাঁদের আক্ষেপ, এই ধরনের সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতা, ঋণ ও নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। তার বদলে কচুরিপানার শিল্পের কথা হতাশাজনক।
তবে সম্মেলনে নানা প্রকল্পের বিষয়ে যে কথা হয়নি, তা আদৌ নয়। সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব রাজেশ পান্ডে জানান, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে যে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প চালু হচ্ছে সেখানে তাঁতি ও হস্তশিল্পীদের ‘আর্টিজ়ান ক্রেডিট কার্ড’ দেওয়া হবে। গত বছর ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে শুধু নদিয়াতেই পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই বছর এখনও পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে গত বারের থেকে বেশি ঋণ দেওয়া হবে বলে মনে করছেন তিনি। সেই সঙ্গেই সচিব জানান, স্কুলের পোশাক তৈরির সমস্ত কাপড় রাজ্যেই তৈরি করা হবে। তার জন্য বছরে সাড়ে ছ’হাজার কোটি মিটার কাপড় তৈরি হবে। যা রাজ্যের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে বলে তা়ঁদের দাবি। নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy