Advertisement
E-Paper

রাজ্যপাল কবে ফিরবেন কলকাতায়? দাবি নিয়ে কী বক্তব্য? দার্জিলিং-বৈঠকের পর জানালেন কল্যাণ

রাজ্যপাল আনন্দ বোসের ডাকে শনিবার দার্জিলিঙের রাজভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র।

Governor CV Anand Bose

দার্জিলিঙে রাজভবনের বাইরে (বাঁ দিক থেকে) প্রদীপ মজুমদার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:২৮
Share
Save

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবারও আবার জানিয়ে দিয়েছেন, যত দিন না রাজ্যপাল কলকাতায় ফিরছেন এবং তাঁদের প্রতিনিধিদলের কথা শুনছেন, তিনি রাজভবনের সামনে থেকে ধর্না তুলবেন না। সেই দিন নিয়ে যখন সংশয়ের চোরাস্রোত বয়ে যাচ্ছে, তখন রাজ্যপালের শহরে ফেরার ব্যাপারে সামান্য হলেও আভাস পাওয়া গেল শনিবার। বোসের প্রস্তাব মতো দার্জিলিঙের রাজভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের তিন প্রতিনিধি। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র। বোসের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কল্যাণ জানান, রাজ্যপাল তাঁদের বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি তিনি কলকাতায় ফিরবেন। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও তারিখের কথা কল্যাণদের তিনি জানাননি।

রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বলেন, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে যা আলোচনা হয়েছে, তা থেকে দু’টি নির্যাস উঠে এসেছে। এক, তিনি খুব তাড়াতাড়ি কলকাতায় ফিরবেন। দুই, তিনি বলেছেন, বাংলার পাওনা নিয়ে তাঁর যা কথা বলার তিনি বলবেন। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও রাজনৈতিক বাধা থাকে, তা হলে তিনি কিছু করতে পারবেন না।’’

শনিবার তৃণমূলের তিন প্রতিনিধির সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তার পর কল্যাণ জানান, তাঁরা রাজ্যপালকে বলেছেন, মূল প্রতিনিধিদল রাজভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচিতে রয়েছে। রাজ্যপাল ডেকেছেন বলে, তাঁর পদকে সম্মান দিতেই দার্জিলিঙে পৌঁছেছেন কল্যণেরা। এ-ও জানানো হয়েছে, তিনি কলকাতায় ফিরলে তৃণমূল ৫০ লক্ষ চিঠি তুলে দেবে তাঁর হাতে। এবং গোটা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাঁকে বৈঠকে বসতে হবে। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করে বেরনোর পরই অভিষেককে ফোন করে কথাবার্তার রিপোর্ট দিয়েছেন কল্যাণ।

রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

অভিষেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যপাল যত ক্ষণ না কলকাতায় ফিরে তৃণমূলের মূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করছেন, তত ক্ষণ ধর্না চলবে। অভিষেক এ-ও বলেছিলেন, রাজ্যপাল যদি পুজোতেও না-ফেরেন, তা হলে উৎসবের দিনগুলিতেও তিনি রাস্তাতেই থাকবেন। এক দিকে রাজ্যপালের ডাকে তিন প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে সংসদীয় রাজনীতির শিষ্টাচারের বার্তা দিতে চেয়েছিল তৃণমূল। পাশাপাশি ধর্না চালিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাজভবনের উপর রাজনৈতিক চাপও জারি রেখেছিল।

কল্যাণের দাবি, রাজ্যপাল তাঁদের জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই বোসকে সবটা জানিয়েছিলেন। সেই মতো পঞ্চায়েতমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সব তথ্য তিনি নিয়েওছিলেন। কল্যাণের দাবি— রাজ্যপাল জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে তিনি সন্তুষ্টই হয়েছিলেন। শনিবার ফের কল্যাণদের রাজ্যপাল কথা দিয়েছেন, তিনি এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন। বাংলার গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজে মজুরির টাকা যাতে মার না যায় সে ব্যাপারে তাঁর যা করণীয়, তিনি তা করবেন।

রাজ্যপাল বোস অভিষেকের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন বলেও জানিয়েছেন কল্যাণ। তিনি তরুণ বয়সের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শরদ পওয়ারের রাজনৈতিক মেজাজের সঙ্গে তুলনা করেছেন অভিষেকের। শ্রীরামপুরের সাংসদের দাবি, রাজ্যপাল বলেছেন, অভিষেক দেশের আগামী দিনের নেতা।

Governor CV Ananda Bose Kalyan Banerjee Mahua Moitra

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}