নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দরে ইডির হানায় সাত কোটি টাকা উদ্ধার নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র
কোনও বিধানসভা এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা টাকা উদ্ধার করলে তার জবাব কেন সংশ্লিষ্ট বিধায়ককে দিতে হবে? শনিবার এমন প্রশ্নই তুলে দিলেন কলকাতা বন্দরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যে এলাকায় শনিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), সেই কলকাতা বন্দর আসলে মন্ত্রী ফিরহাদের বিধানসভার মধ্যেই পড়ে। ওই এলাকা থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ বিষয়ে মেয়র ফিরহাদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন, তাঁর বিধানসভা এলাকায় টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে তিনি জবাব দিতে যাবেন কেন?
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কলকাতার ছ’টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। সেই তল্লাশি চলাকালীন গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি থেকে অন্তত ৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। দুপুরে পুরসভায় সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন ফিরহাদ। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমার বিধানসভা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমি এর জবাব দেব কেন? দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রকম তল্লাশিতে বহু টাকা উদ্ধার হচ্ছে। তা নিয়ে কি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জবাব দিতে যান?’’
ফিরহাদ এ প্রসঙ্গে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া শিল্পপতি নীরব মোদীর কথাও তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘দেশ থেকে নীরব মোদী হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তার পরে কি দেশের প্রধানমন্ত্রী কোন জবাব দিয়েছিলেন? এ ক্ষেত্রে কেন আমাদের জবাবদিহি করতে হবে? কেবল মাত্র বাছাই করে অবিজেপি রাজ্যগুলিকে টার্গেট করা হচ্ছে। সেখানে ইডি, সিবিআই ও ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে রেড করিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে, যাতে আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করি।’’
কলকাতার মেয়রের আরও দাবি, অবিজেপি রাজ্যগুলির ভাবমূর্তি নষ্ট করে বিজেপিশাসিত রাজ্যে বিনিয়োগ ডেকে নিয়ে যেতে চাইছে বিজেপি। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় বাংলার ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে এমন ভীতির সঞ্চার করছে যে, বিনিয়োগকারীরা এ রাজ্যে বিনিয়োগ না করে বিজেপিশাসিত রাজ্যে বিনিয়োগ করতে বাধ্য হন।’’
অন্য দিকে, ইডির অভিযান শুরুর পর থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও আমিরের হেফাজতে ঠিক কত টাকা রয়েছে, তা জানা যাচ্ছিল না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর দুপুরে অবশেষে ইডি জানিয়ে দেয়, আমিরের দোতলার বাড়ি থেকে ৭ কোটিরও বেশি টাকা পাওয়া দিয়েছে। আমিরের দোতলা বাড়ির একটি ঘরের খাটের তলায় অসংখ্য প্লাস্টিকের থলিতে ভরা ছিল থরে থরে নোটের বান্ডিল। তাতে ৫০০ এবং ২০০০ টাকা নোট রাখা ছিল। ওই টাকা গুনতে স্টেট ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সাহায্য নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy