জঙ্গলমহলের উন্নয়নে কেন্দ্রের বিশেষ প্রকল্প ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান’ (আইএপি)-এ চলতি আর্থিক বছরে অতিরিক্ত বরাদ্দ পেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের বকেয়া ২০ কোটি জেলা পায়নি। চলতি আর্থিক বছরে ৭ মাস কেটে যাওয়ার পরেও টাকা মেলায় সংশয় দেখা দেয়। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি পশ্চিম মেদিনীপুর মাওবাদী প্রভাবিত জেলার তালিকা থেকে বাদ পড়ল! অবশেষে সেই টাকা পাওয়া গেল। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “চলতি আর্থিক বছরে ২০ কোটি টাকা মিলেছে। ওই টাকায় দ্রুত প্রকল্প রূপায়ণে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
২০১৩-১৪ আর্থিক বছরের বকেয়া ২০ কোটি টাকা থেকে অবশ্য বঞ্চিতই হল জেলা। গত আর্থিক বছরে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা খরচ করতে না পারায় বকেয়া ২০ কোটি টাকা মেলেনি। প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, গত আর্থিক বছরের একেবারে শেষ দিকে প্রথম কিস্তির ১০ কোটি টাকা মিলেছিল। তার উপর ছিল লোকসভা নির্বাচনও। তার জেরে উন্নয়নের কাজে সে ভাবে নজর দেওয়া যায়নি।
এই প্রকল্পে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার উন্নয়নে একটি জেলা বছরে ৩০ কোটি টাকা পায়। চলতি আর্থিক বছরে যাতে প্রকল্পের বকেয়া ১০ কোটি টাকা থেকে জেলা বঞ্চিত না হয়, সে জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে বিডিওদের। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মাওবাদী প্রভাবিত ১১টি ব্লকের বিডিওদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক। প্রশাসন সূত্রে খবর, বেশিরভাগ বিডিও ঢালাই রাস্তা তৈরির উপর জোর দিয়েছেন।
যদিও এ দিনের বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রয়োজনে নিশ্চয় ঢালাই রাস্তা করতে হবে, তবে কোন কাজ করা আগে জরুরি সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ, এমনিতেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় প্রচুর রাস্তা তৈরির অনুমোদন পেয়েছে জেলা। তা সম্পূর্ণ করতে প্রশাসনকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই আইএপি-র টাকায় অন্য জরুরি কাজগুলি আগে করার পরামর্শ দেন জেলাশাসক। সেরই সঙ্গে জেলা যাতে বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy