এ বার দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে জামবনির এক তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন শাসক দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যেরা। জামবনি ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত জামবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কালিপদ মাহাতোকে অপসারণের জন্য বিডিও-র কাছে অনাস্থাপত্র জমা দিয়েছেন তৃণমূলেরই ৬ পঞ্চায়েত সদস্য। জামবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য ৮ জন। এর মধ্যে প্রধান কালিপদবাবু-সহ ৭ জন সদস্য তৃণমূলের। এক জন সিপিএম সদস্য রয়েছেন।
সপ্তাহ দু’য়েক আগে অনাস্থার চিঠি পেয়ে বিডিও পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ শুরু করেন। জামবনির বিডিও দীপ ভাদুড়ি জানান, কাল, বুধবার ৩ সেপ্টেম্বর জামবনি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ভোটাভুটির জন্য তলবি সভা ডাকা হয়েছে। সম্প্রতি বেলপাহাড়ি ব্লকের কাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন সিপিএম এবং ঝাড়খণ্ডীরা।
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কালিপদবাবুকে প্রধান পদ থেকে সরাতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত বছর জুলাইয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতার পর কালিপদবাবু দলীয় নির্দেশ অগ্রাহ্য করে প্রধান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তৃণমূলের তরফে ধনঞ্জয় মাহাতোর নাম প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধান নির্বাচনের দিন কালিপদবাবুর নাম উত্থাপন করে তাঁকে সমর্থন করে বসেন তৃণমূলের দুই সদস্য ও বিরোধী সিপিএমের এক সদস্য। অন্য দিকে, ধনঞ্জয়বাবুকে সমর্থন করেন বাকি ৩ তৃণমূল সদস্য।
এই পরিস্থিতিতে প্রধান পদের দুই দাবিদারের পক্ষে-বিপক্ষে সমর্থন ৪-৪ হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন করার জন্য লটারি হয়। লটারির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচিত হন কালিপদবাবু। ওই দিনই তাঁর বিদায়ের পথ পাকা হয়েছিল বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে কালিপদবাবুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সোচ্চার হন দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা। প্রধান নির্বাচনের সময় যে দু’ই তৃণমূল সদস্য কালিপদবাবুকে সমর্থন করেছিলেন, তাঁরাও এখন বিরূপ হয়ে অনাস্থাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এই পরিস্থতিতে কালিপদবাবুর অপসারণ এক রকম নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
কালিপদবাবুর বক্তব্য, “এত দিন পঞ্চায়েতের টাকা লুঠ হতে দিইনি। তাই চক্রান্ত করে আমাকে সরানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জনগণই এর জবাব দেবেন।” জামবনি ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সমীরকুমার ধল বলেন, “কালিপদবাবু দলের কোনও সিদ্ধান্তই মানছিলেন না। সেই কারণেই দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা অনাস্থা এনেছেন।”
মহড়া। রাজ্যের সিভিল ডিফেন্সের (অসামরিক প্রতিরক্ষা) চার স্বেচ্ছাসেবক রাষ্ট্রপতি পদক পেতে চলেছেন। যা শুধু রাজ্যে নয়, দেশের মধ্যে প্রথম। ে সামবার দিঘার অমরাবতি পার্কে অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ শিবিরের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এই দাবি করেন রাজ্যের অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী জাভেদ খান। তাঁর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টায় এই মন্ত্রক দেশের মধ্যে এক নম্বর। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১১০০ জনকে দমকল বিভাগ চাকরি দিয়েছে।” পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন জানান, প্রশিক্ষিতদের দিয়ে দিঘায় সমুদ্রস্নানে নামা পর্যটকদের নিরাপত্তার দিকটি সুনিশ্চিত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy