তৃণমূলের সমর্থক দুই পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক অপরের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুর, মারধর, লুটপাট ও মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার তিলখোজা গ্রামের এই ঘটনায় তৃণমূল সমর্থক একটি পরিবার প্রায় কুড়ি দিন ধরে ঘরছাড়া রয়েছেন বলেও অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও উঠেছে। জেলা পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন শুক্রবার বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না থানার তিলখোজা গ্রামে একই পাড়ার বাসিন্দা শেখ মুস্তাফা হোসেনের সঙ্গে শেখ আসিউর রহমানের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে। মুস্তাফা ও আসিউর দু’জনেই এলাকায় তৃণমূল সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ, সেই বিবাদে গত ৭ অগস্ট সন্ধ্যায় আসিউরের পক্ষের একদল লোক মুস্তাফার বাড়িতে হামলা চালিয়ে মুস্তাফা, তাঁর দাদা শেখ সানোয়াজ ও বোন সুলাতানা বেগমের বাড়িতে ভাঙচুর করে। তখন পিতল-কাঁসার বাসনপত্র লুঠের পাশাপাশি এক মহিলার শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ।
ওই হামলার প্রতিবাদে মুস্তাফার দিদি ময়না থানায় সাত জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। ওই একই দিনে মুস্তাফা-সহ তাঁর পরিবারের লোকজন শেখ আসিউরের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, খুনের চেষ্টা ও তাঁর আত্মীয় এক মহিলার শ্লীলতাহানি করে বলে ময়না থানায় সাত জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ, ওই ঘটনায় পুলিশ উল্টে ঘটনায় পর দিন মুস্তাফা, তাঁর বোন ও ভাগ্নেকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জেল হেফাজত হয়। পরে তাঁরা জামিন পেলেও মুস্তাফার পরিবার বাড়িতে ফিরতে পারেনি বলে অভিযোগ। মুস্তাফার ছোট ছেলে হাওড়ার এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। শেখ ইনতাজ আলির অভিযোগ, “ঘটনার দিন থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের ধরেনি। উল্টে আসিউরের পক্ষের একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাবা ও আত্মীয়-সহ তিনজনকে ধরেছে।”
ইনতাজের আরও অভিযোগ, হামলায় অভিযুক্তেরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে ওই পরিবার। অভিযোগ অস্বীকার করে আসিউরের পাল্টা দাবি, আক্রান্ত তাঁরাই। মিথ্যে অভিযোগ করছেন ইনতাজেরা।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে ময়নার তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিমান পণ্ডা বলেন, “বিষয়টি নজরে এসেছে। পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই ঘটনা। উভয়েই যেহেতু আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাই আমরা কিছু বলব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy