ছিনতাই করতে এসে গুলি চালাল দুষ্কৃতী। লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে রেলশহরে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে খড়্গপুর স্টেশন থেকে গোলবাজার লাগোয়া ৭ নম্বর রেল কলোনিতে। প্রদীপ ধাওলিয়া নামে সোনার দোকানের এক কর্মচারী ছিনতাইবাজের খপ্পরে পড়েন। তাঁর ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায় দুষ্কৃতীরা। না পেরে গুলি ছোড়ে। তবে কেউ জখম হয়নি। ব্যাগটিও নিতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগও জানাননি প্রদীপবাবু। কিন্তু উৎসবের মরসুমে গুলিচালনার ঘটনায় ফের পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন আতঙ্কিত শহরবাসী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কলকাতা থেকে জগন্নাথ এক্সপ্রেসে খড়্গপুর স্টেশনে নামেন গোলবাজারের ভাণ্ডারীচকের সোনার দোকানের কর্মী প্রদীপ ধাওলিয়া। স্টেশন থেকে এক বন্ধুর সঙ্গে মোটর বাইকে ফিরছিলেন তিনি। ৭ নম্বর রেল কলোনি সংলগ্ন পার্কের কাছে পিছন থেকে আসা আর একটি মোটর বাইক তাঁদের পথ আটকায়। প্রদীপবাবুর অভিযোগ, মোটর বাইকের পিছনে বসা এক যুবক তাঁর হাত থেকে ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু তা সফল না হওয়ায় প্রথমে শূন্যে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই আওয়াজে ফাঁকা হয়ে যায় ওই এলাকা। এরপরই প্রদীপবাবুর হাতের ব্যাগ নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া চলার পর ফের দুষ্কৃতীরা প্রদীপবাবুর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে তা লাগে পাশের দেওয়ালে। এরপরই চিৎকার শুরু করে স্থানীয় ক্লাবের দিকে প্রদীপ ছুটে গেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে ব্যাগে কী ছিল তা স্পষ্টভাবে বলতে চাননি প্রদীপবাবু। তাঁর দাবি, ওই ব্যাগে কিছু বই আর ধনতেরস উপলক্ষে এক ডজন রূপোর মেমেন্টো এবং একটি সোনার হার ছিল। কিন্তু এই জিনিস নিতে কেন দুষ্কৃতীরা হামলা করল তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে পুলিশের মনে। এমনকী মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেননি প্রদীপবাবু।
তিনি বলেন, “প্রথমে মনে হয়েছিল পিছন থেকে আসা কোনও বন্ধু মজা করছে। কিন্তু গুলি চলার পর মাথার ঠিক ছিল না। তাই তখন কী করছি নিজেই বুঝতে পারিনি।” তবে তাঁর সংযোজন, “আতঙ্ক কাটলে পুলিশে নিশ্চয়ই অভিযোগ জানাব।”
গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুজোর মুখে টাউন থানা থেকে সামান্য দূরত্বে পূরণ গুপ্ত নামে এক ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই হয়। সেই ঘটনায় দু’জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করলেও টাকা উদ্ধার হয়নি। গত ৬ জুলাই একই দিনে টাউন থানার মালঞ্চ ও নিমপুরা এলাকা পৃথক দু’টি ঘটনায় দুই রেলকর্মীর কয়েক লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনারও কিনারা এখনও করে উঠতে পারেনি টাউন পুলিশ। তাই পরপর এমন ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার দিকটাই বেআব্রু হয়ে উঠছে শহরবাসীর কাছে। এ দিনের ঘটনার পরেও তাই পুলিশি টহলদারি থেকে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার দাবি তুলছে খড়্গপুরবাসী।
সম্মেলন। বিজেপির তফসিলি মোর্চার জেলা সম্মেলন অনুষ্টিত হল ক্ষীরপাই টাউন হলে। সোমবার সম্মেলনে কয়েক হাজার দলীয় সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির জেলা সম্পাদক রূপচাঁদ পাত্রের দাবি, “এদিনের সম্মেলনই প্রমাণ করে দিয়েছে আগামী দিনে বিজেপিই সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা।” সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোর্চার রাজ্য সভাপতি বিনয় চৌধুরী, সম্পাদক উদ্বব মণ্ডল, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবলু বরম, সুমন্ত মণ্ডল, দীপক পাত্র-সহ দলীয় নেতৃত্বরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy