জলের দাবিতে খড়্গপুরে পথ আটকে মহিলারা। — নিজস্ব চিত্র।
পাম্প খারাপ থাকায় জল আসছে না আবাসনে। প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে দরবার করেও চিঁড়ে ভেজেনি! অগত্যা গৃহকর্তাদের পথ আটকালেন ঘরণীরা! আশা একটাই, যদিও নির্জলা দশা কাটে।
গত ২৫ দিন ধরে জল আসছে না খড়্গপুরের ডাক ও টেলিফোন বিভাগের কর্মীদের আবাসনে। জলসঙ্কটে কষ্টে ৮০টি পরিবারের কয়েকশো লোক। আবাসনের পাম্প খারাপ হয়ে যাওয়ায় এই বিপত্তি বলে আবাসনের লোকেদের দাবি। ডাক ও টেলিফোন দফতরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরাই পরিবার নিয়ে এই আবাসনে থাকেন। দফতরের আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বৃহস্পতিবার অফিস যাওয়ার সময় স্বামীদের পথ আটকালেন গৃহিণীরা। লক্ষ্য একটাই, যদি দফতরের কর্মীদের দেখে আধিকারিকদের হুঁশ ফেরে।
এ দিন প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ-বিক্ষোভ। ডাক বিভাগে বিক্ষোভের খবরও পৌঁছয়। ঘরণীর বাধা বলে কথা, এ দিন শেষ পর্যন্ত অফিসই যেতে পারলেন না অনেকে। ওই আবাসনের বাসিন্দা ডাক বিভাগের কর্মী কৃষ্ণপ্রসাদ বেরা বলেন, “গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পাম্প বিকল। আবাসনে জল আসছে না। পাম্প মেরামতির কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জল না আসায় ঘরের বিভিন্ন কাজে সমস্যা হচ্ছিল। তাই আবাসনের মহিলারা একজোট হয়ে এই অবরোধ করেছেন।”
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় ওই আবাসনের পাম্পের দেখভাল করত ডাক বিভাগ নিযুক্ত জনসংযোগ আধিকারিক। এখন ওই আবাসনে ডাক ও রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল-এর কর্মীরা থাকেন। বর্তমানে জনসংযোগ আধিকারিকের পদটি তুলে দিয়েছে ডাক বিভাগ। ফলে পাম্প বিকল হলেও মেরামত হচ্ছে না।
এ দিনের আন্দোলনের পরে ডাক বিভাগের মেদিনীপুর ডিভিশনের সিনিয়ার সুপারিন্টেনডেন্ট আন্সুয়া প্রসাদ বলেন, “আসলে পাম্প বিকল হয়ে যাওয়ায় এখন ওই আবাসনের একতলা পর্যন্ত জল উঠছে। আমরা স্থায়ী বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু সেটা সময় সাপেক্ষ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘অস্থায়ীভাবে ওই আবাসনের একতলায় রিজার্ভার বসিয়ে চার তলা পর্যন্ত ছোট পাম্প দিয়ে জল তোলা ব্যবস্থা করার জন্য বিএসএনএল-আধিকারিকদের বলা হয়েছে। আশা করছি ৩-৪ দিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy