Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

শ্রীনু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য প্রত্যক্ষদর্শীর

মামলাটি চলছে মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে। প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন শ্রীনুর শ্বাশুড়ি বি মীনা কুমারী।

শ্রীনু নায়ডু।

শ্রীনু নায়ডু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৫১
Share: Save:

শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায় শুক্রবার সাক্ষ্য দিলেন ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী। বি বিজয় কুমার নামে এই প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার দিন তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে ছিলেন। যে কার্যালয়ে শ্রীনুও ছিল।

মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য হয়েছে আগামী ৬ নভেম্বর। বিজয় কুমার আগেও সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। সে দিন তাঁকে জেরা করেছিলেন সরকারপক্ষের আইনজীবী। এ দিন জেরা করেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী। মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরকুমার নায়েক বলেন, “শুক্রবার বি বিজয় কুমার সাক্ষ্য দিয়েছেন। ঘটনার দিন কী হয়েছিল তার সমস্তটাই আদালতকে জানিয়েছেন।” এই মামলায় জামিন চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছিল শঙ্কর রাও-সহ ৭ জন অভিযুক্ত। শুনানির পরে বৃহস্পতিবারই সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। সমরবাবু বলেন, “৭ জন জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল। বৃহস্পতিবার শুনানি হয়। ৭ জনেরই জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে।” গত ৩০ জুন শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

মামলাটি চলছে মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে। প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন শ্রীনুর শ্বাশুড়ি বি মীনা কুমারী।

গত ১১ জানুয়ারি বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রীনুর স্ত্রী পূজা। বি মিনা কুমারি পূজারই মা। দুষ্কৃতী হামলায় নিহত হয় শ্রীনুর ‘ডান-হাত’ বলে পরিচিত ধর্মা রাও। জখম হয় তিনজন। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় গত ৮ এপ্রিল মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে শ্রীনু হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। চার্জশিটে ১৪ জনের নাম রয়েছে। এরমধ্যে বাসব রামবাবু সহ ১৩ জন ধরা পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়েছে। কে কাশী রাও এখনও পলাতক।

চার্জশিটে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, রামবাবুই ঘটনার মূলচক্রী। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে শুক্রবার আদালত চত্বরে প্রয়োজনীয় পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE