কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু চুরির ঘটনার পরে জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসল। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবথেকে বড় সরকারি হাসপাতাল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়াতে উদ্যোগী হল প্রশাসন।
শুক্রবার জেলা পুলিশের একটি দল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পুলিশের এই দলে ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শচীন মাক্কার। পরিদর্শনের সময়ে সঙ্গে ছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজা, সহকারী সুপার প্রণবেশ রায় প্রমুখ। পরিদর্শন শেষে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য কিছু পদক্ষেপ করা হবে। এ দিন সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে।”
হাসপাতাল চত্বরে সশস্ত্র পুলিশকর্মী মোতায়েন হতে পারে। এ দিন হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিশকে এই প্রস্তাবও দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তাদের মতে, সশস্ত্র পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকলে হাসপাতাল চত্বরের সুরক্ষা অনেকখানি বেড়ে যায়। মহিলা পুলিশকর্মীও মোতায়েন হতে পারে।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে শয্যা রয়েছে ৬৬০টি। গড়ে রোগী ভর্তি থাকেন ৭৫০-৮০০ জন। জরুরি বিভাগে মাসপিছু গড়ে রোগী আসেন ৬,৫৭০ জন। অথচ, এত বড় হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ ফাঁড়িই নেই! পুলিশকর্মী সংখ্যায় কম।
এখন পর্যাপ্ত আলোর অভাবে সন্ধ্যা নামলে হাসপাতাল চত্বরের একাংশ অরক্ষিত হয়ে পড়ে। এখানে দুষ্টচক্রও সক্রিয় বলে অভিযোগ। মাস খানেক আগেই হাসপাতাল চত্বর জুড়ে ৪৮টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ বার সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। সেই সঙ্গে চারপাশের সীমানা পাঁচিল আরও উঁচু করা হতে পারে। মেডিক্যালের সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজার আশ্বাস, “হাসপাতাল ক্যাম্পাসে নজরদারি থাকে। এ বার নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy