জেরা শেষে বেরচ্ছেন শেখ সুফিয়ান (সাদা মাস্ক পরে)। নিজস্ব চিত্র।
শেখ সুফিয়ানকে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা জেরা করল সিবিআই। বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির মৃত্যুর ঘটনায় সুফিয়ানকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। হলদিয়ায় পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ ঢোকেন নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট সুফিয়ান। সেখান থেকে আড়াইটে নাগাদ বেরিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘মেরুদণ্ড সোজা রেখেই সিবিআইয়ের প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছি।’’ তদন্তে সহযোগিতা করার কথাও জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।
ভোটের ফল প্রকাশের পর দিন বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলকর্মীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতায় নিয়ে গেলে, দু’দিন পরই মৃত্যু হয় তাঁর। ওই এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের কাছেই দেবব্রতের মৃত্যুর ঘটনায় সুফিয়ান-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ জানানো হয়।
বুধবার ইমেল মারফত শেখ সুফিয়ান, শেখ তফিজুল এবং শেখ সালামকে নোটিস পাঠান সিবিআইয়ের ডেপুটি পুলিশ সুপার শ্যাম দত্ত। নোটিসে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হলদিয়ার পোর্ট ট্রাস্ট গেস্ট হাউসে তাঁদের হাজির হতে হবে। সেই নির্দেশ মতোই নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়েই সিবিআইয়ের সামনে হাজির হন সুফিয়ান। সকাল ১০টা থেকে প্রায় দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত এক টানা জেরা করা হয় তাঁকে। সিবিআই জেরা শেষে বেরিয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুফিয়ান। জেরায় মুখোমুখি হওয়ার আগে সুফিয়ান বলেছিলেন, ‘‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আমাদের লড়াই করবার সাহস আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy