Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

হস্টেলে জলকষ্ট, নালিশ ছাত্রীদের

গরম পড়তেই হস্টেলে জলসঙ্কট। শুধু জল নয়, সমস্যার তালিকা আরও দীর্ঘ। সমস্যার কথা লিখিত ভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেদিনীপুরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের (গোপ কলেজ) হস্টেলের আবাসিকরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৭
Share: Save:

গরম পড়তেই হস্টেলে জলসঙ্কট। শুধু জল নয়, সমস্যার তালিকা আরও দীর্ঘ। সমস্যার কথা লিখিত ভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেদিনীপুরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের (গোপ কলেজ) হস্টেলের আবাসিকরা।

আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগ, হস্টেলের ঘরে পাখার সংখ্যা কম। আলোও কম। খাবারের মানও অনেক সময় খারাপ থাকে। এই সব সমস্যার কথা লিখিত ভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কোনও সংগঠনের পক্ষ থেকে নয়, আবাসিক ছাত্রীরা নিজেরাই সমস্যার কথা জানাবেন। কিছু সমস্যা যে রয়েছে তা মানছেন কলেজের অধ্যক্ষা জয়শ্রী লাহা। তাঁর কথায়, “হস্টেলে কিছু সমস্যা রয়েছে বলে শুনেছি। আবাসিক ছাত্রীদের কাছ থেকেই শুনেছি। সমস্যার সমাধানে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

হস্টেল সূত্রে খবর, কাল, শনিবার আবাসিক ছাত্রীদের এক প্রতিনিধি দল অধ্যক্ষা জয়শ্রীদেবীর সঙ্গে দেখা করবে। আবাসিক ছাত্রীদের ওই অভিযোগ যুক্তিসঙ্গত বলে মানছে কলেজের ছাত্রী সংসদও। ছাত্রী সংসদের সাধারণ সম্পাদিকা সুকৃতি হাজরার কথায়, “হস্টেলে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। আবাসিকেরা আমাকেও সমস্যার কথা জানিয়েছে। আমি বিষয়টি কলেজকে জানিয়েছি।” তাঁর কথায়, “আমরা চাই, কলেজ দ্রুত এই সব সমস্যার সমাধানে
ব্যবস্থা নিক।”

কলেজ সূত্রে খবর, বুধবার কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠকেও হস্টেলের এই সমস্যার প্রসঙ্গ সামনে আনেন ছাত্রী সংসদের সাধারণ সম্পাদিকা সুকৃতি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আর্জি জানান। সুকৃতির কথায়, “সবে গরম পড়তে শুরু করেছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ না করলে সমস্যা বাড়বে। তাই সমিতির বৈঠকে ওই সমস্যাগুলোর কথা জানাই।”

হস্টেল সূত্রে খবর, কলেজ কর্তৃপক্ষকে আরও বেশ কিছু সমস্যার কথা জানাতে চলেছেন আবাসিক ছাত্রীরা। কেমন? আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগ, হস্টেলে মাঝে মধ্যে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। কখনও কখনও প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার দেওয়া হয়। এই সব সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে হস্টেলের কর্মীরা মাঝে মধ্যে ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। হস্টেলে সবমিলিয়ে ৬টি ভবন রয়েছে। এক-একটি ভবনে বেশ কয়েকটি করে ঘর রয়েছে। এক-একটি ঘরে ৪ জন করে থাকেন। অথচ, ঘরগুলোয় একটি পাখা ও আলো রয়েছে।

আবাসিক ছাত্রী সুজাতা জানা, সোমা মণ্ডলদের কথায়, “পাখা কম থাকায় গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়। হস্টেলে পর্যাপ্ত জলও পাই না। এখনই এই গরম। গরম আরও বাড়লে যে কী হবে কে জানে!” পাশাপাশি, সব হস্টেলে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করা, ওয়াইফাই-এর সমস্যার সমাধান করার মতো কিছু দাবিও জানাতে চলেছেন আবাসিক ছাত্রীরা। কলেজের অধ্যক্ষা জয়শ্রীদেবীর আশ্বাস, “নতুন গভীর নলকূপ বসানো হবে। ঘরে ২টি করে পাখা দেওয়া হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Water crisis Hostel Students
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy