—ফাইল চিত্র।
লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে সৈকতের পর্যটন কেন্দ্রগুলি সবেমাত্র খুলেতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই অঘটন! তাজপুরে সমুদ্র-স্নানে নেমে তলিয়ে গেলেন তিন পর্যটক। পরে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মন্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতেরা হলেন গোলাম মহম্মদ (২৫) এবং মহম্মদ জুনেইদ (৩০)। গোলাম হাওড়ার শিবপুরের এবং জুনেইদ টিকিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। শনিবার সকালে গোলাম, জুনেইদ এবং উজির মহম্মদ নামে তিন বন্ধু গাড়িতে করে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন। দুপুর নাগাদ তাঁরা তাজপুরে যান। সেখানে তিন বন্ধু সমুদ্র-স্নানে নামেন। ওই সময় ঢেউয়ের ধাক্কায় তিনজনেই তলিয়ে যান। তাঁদের উদ্ধারে নামেন নুলিয়ারা। কিছুক্ষণ বাদে গোলাম এবং জুনেইদের মৃতদেহ ভেসে আসে সৈকতে। আর গুরুতর জখম অবস্থায় উজিরকে উদ্ধার করেন পুলিশ কর্মীরা।
উজিরকে বালিসাই বড় রংকুয়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, এ দিন সকাল থেকে ঝিরঝির বৃষ্টি হচ্ছিল। তাছাড়া, এখন চন্দ্রগ্রহণও রয়েছে। তাই এই সময় সমুদ্র উত্তাল ছিল। তা সত্ত্বেও ওই তিন পর্যটক সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন। মৃত দুই পর্যটকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় মন্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ। তাঁদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
গত ৮ জুন থেকে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে দিঘা-সহ সৈকতের সবকটি পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের আপত্তিতে কেন্দ্রগুলি পুরোদমে চালু হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহে সব হোটেল খুলে গিয়েছে। আপাতত দিঘা, মন্দারমণি এবং তাজপুরে ছুটি কাটাতে আসছেন পর্যটকদের একাংশ। এ দিনের ঘটনার পরে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কড়া নজরদারি করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সৈকতে ধারে পুলিশ এবং নুলিয়া সর্বক্ষণ নজরদারি চালাবে। মত্ত অবস্থায় পর্যটকেরা যাতে সমুদ্রে না নামেন, সে জন্য আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy