ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। রামনগরের পালধুই গ্রামে।
প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় আর বৃষ্টিতে রামনগর ১ এবং রামনগর-২ ব্লকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি লেগেই ছিল। সঙ্গে ওই রাতে থেকে দোসর হয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার। যাতে রামনগরের বিস্তীর্ণ উপকূলবর্তী এলাকায় ঘরবাড়ি, পানের বরোজ এবং গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে প্রকাশ, রামনগর-১ ব্লকের গোবরা, জলধা, তাজপুর, সান বালিসাই, কাঁটাবনী, হলদিয়া, দেউলবাট্টা, বাধিয়া-সহ বহু গ্রামে অনেক কাঁচা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে।
রামনগর ২ ব্লকেও ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পালধুই গ্রামে অভিমুন্য মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির বাড়ির টালির চালে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। তাতে বাড়ির একাংশ ভেঙে যায়। অভিমন্যুর কথায়, “দুর্ঘটনার সময় বাড়ির ভাঙা অংশের দিকে পরিবারের সদস্যরা ছিলেন না। তাই এ যাত্রায় রক্ষা হয়ে গেল। তবে জিনিসপত্র পড়ে আমার ছেলের হাতে আঘাত লেগেছে।’’
ওই গ্রামের সুরজিৎ পাত্র বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই গ্রামের কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে। খুঁটিও ভেঙে গিয়েছে। বিদ্যুৎ দফতর ও বিডিও অফিসে খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কারও দেখা নেই।’’
ওই ব্লকের সটিলাপুর রূপেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি গাছ বিদ্যালয়ের চালার উপর পড়ে। মন্দারমণি যাওয়ার রাস্তায় কালিন্দির কাছে বিদ্যুতের তারে উপর বেশ কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে। এতে যাতায়াতের অসুবিধার পাশাপাশি লোডশেডিংয়ে নাজেহাল হন এলাকার বাসিন্দারা।
রামনগর-২ ব্লকের বিডিও মনোজ কাঞ্জিলাল বলেন, “কালিন্দির দিকে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। তাই ওই এলাকায় উদ্ধার ও মেরামতির কাজ আগে করা হচ্ছে। পালধুই গ্রামে অভিমুন্যবাবুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ দফতর ও ব্লকের কর্মীদের জানানো হয়েছে।’’
রামনগ-১ ব্লকে জলধা তাজপুর রাস্তায় বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা সাময়িক ব্যহৃত হয়। জলধা হরিজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রান্নাঘরের চালের একাংশ ঝড়ে উড়ে যায়।
এ দিন সকালে ওই সব এলাকা পরিদর্শনে যান রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র ও সহ-সভাপতি নিতাই চরণ সার। শম্পা বলেন, ‘‘ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৫০টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতি হয়েছে। ৩০০টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর প্রায় ৩০০টি পানের বরোজ নষ্ট হয়েছে। আমরা পঞ্চায়েত সমিতি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের থেকে প্রাথমিকভাবে ২৮৬টি ত্রিপল দিয়েছি। ১০০ জনকে জামাকাপড়ও দেওয়া হয়েছে।’’
রামনগর-১ এর বিডিও আশিসকুমার রায় বলেন, ‘‘ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানেরা ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। তবে যে সমস্ত ঘরগুলি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট পাঠাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy