Advertisement
E-Paper

পর্যটনের শহরে তালাবন্ধ তথ্যকেন্দ্র, নষ্ট পার্কও

২০১৯ সালে ওই পার্ক ও পর্যটন তথ্য কেন্দ্রের পরিষেবা দান ও দেখাশোনার জন্য পুরসভার দু’জন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দু’জন, মোট চার জন অস্থায়ী কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

থিম্যাটিক পার্ক ও তথ্যকেন্দ্রের অবস্থা এমনই।

থিম্যাটিক পার্ক ও তথ্যকেন্দ্রের অবস্থা এমনই।

রঞ্জন পাল

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২৯
Share
Save

পর্যটকদের সহায়তার জন্য বাম আমলে চালু হয়েছিল পর্যটন তথ্য কেন্দ্র। সেটি দীর্ঘদিন ধরেই তালা বন্ধ। একই সঙ্গে বন্ধ ওই কেন্দ্রের পিছনে থাকা পুরসভার থিম্যাটিক পার্ক ও নিজস্বী জ়োন। যা তৈরিতে খরচ হয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। বছর শেষে পর্যটক ঠাসা ওই দুই জায়গা ঘিরে ফের চর্চা শুরু হয়েছে ঝাড়গ্রামে।

২০০৭ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রাম পুরসভার উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই তথ্যকেন্দ্র চালু হয়েছিল। ট্রেনে করে ঝাড়গ্রামে আসা পর্যটকেরা স্টেশন থেকে বের হয়েই যাতে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারেন, সে জন্যেই তৈরি করা হয়েছিল ওই তথ্যকেন্দ্র। ট্রেন থেকে নেমে হোটেলে যাওয়ার দিক নির্দেশ, ভাড়ার গাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর দেওয়ার জন্য ওই কেন্দ্রে থাকতেন পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। সেটি উদ্বোধনের বছর খানেক পরেই জঙ্গলমহলে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় ওই কেন্দ্র। ২০১২ সালে বাম পুরবোর্ডের উদ্যোগে সেখানে পুর কর জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বছর খানেক পরে ফের তালাবন্ধ হয়ে যায় সেই ভবন। ২০১৩ সালে ঝাড়গ্রাম পুরসভার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তারপরও চালু হয়নি সেটি। ২০১৯ সালে তৎকালীন পুর প্রশাসক সুবর্ণ রায় সেটি আবার চালু করেছিলেন। ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ ওই কেন্দ্রের পেছনে তৈরি হয় থিম্যাটিক পার্ক ও নিজস্বী জ়োন। সেখানে ছিল পাহাড়, জঙ্গলের রেপ্লিকা, হাতির মূর্তি, বাঁটুল দি গ্রেটের মূর্তি, বসার জায়গা ও ছোট সাঁকো। নিজস্বী তোলার জন্য ‘আই লাভ ঝাড়গ্রাম’ লেখা সুদৃশ্য প্রকাণ্ড এলইডি ডিসপ্লে বোর্ডও তৈরি করা হয়েছিল। এখন সবই নষ্ট হতে বসেছে।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ওই পার্ক ও পর্যটন তথ্য কেন্দ্রের পরিষেবা দান ও দেখাশোনার জন্য পুরসভার দু’জন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দু’জন, মোট চার জন অস্থায়ী কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারপরে করোনা সংক্রমণ চলে আসে। তথ্যকেন্দ্র ও পার্কে তালা পড়ে যাওয়ায় ওই কর্মীরা নিজেদের দফতরে ফিরে যান। তারপরে ওই তথ্যকেন্দ্র এবং পার্ক আর খোলা হয়নি।

ওই পার্কের সামনে গিয়ে দেখা গেল, ঢোকার একদিকের দরজার সামনে মল-মূত্র, নোংরা আবর্জনা পড়ে রয়েছে। ভিতরে স্টিলের চেয়ারগুলি আগাছায় ভরে গিয়েছে। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা এই বিষয়ে পুরসভার দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন। ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সংগঠনের তরফ থেকে ওই তথ্যকেন্দ্র ও পার্ক পুরসভার থেকে চাওয়া হয়েছিল। এখনও সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ওখানে আমরা পর্যটন সহায়তা কেন্দ্র করব। পর্যটকরা সেখানে এলে হোটেল, ভাড়ার গাড়ি, পথনির্দেশ সহ যাবতীয় তথ্য ও সহযোগিতা পাবেন। পার্কে সময় কাটাতে পারবেন। নিজস্বীও তুলতে পারবেন।’’ পুরপ্রধান কবিতা ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি আলোচনা করে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jhargram

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}