তদন্তে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা ভোটের আগে আবারও উত্তপ্ত হল চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুর। দিন কয়েক আগে একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে কেন্দ্র করে এখানে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল তৃণমূল-বিজেপি। বেশ কয়েক জন জখম হয়েছিলেন। দু’পক্ষের সমর্থকদের ধরপাকড়ও করা হয়।
সোমবার রাতে ওই পঞ্চায়েতেরই বালা গ্রামে রাস্তার ধারে তৃণমূলের দলীয় পতাকা, ফেস্টুন, সরকারি প্রকল্পের প্রচার হোর্ডিং খুলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাট আউটও বাদ যায়নি। ভেঙে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিধায়কের উন্নয়নের প্রচার স্তম্ভও। তৃণমূলের অভিযোগ, এই ঘটনায় বিজেপি জড়িত। ভোটের আগে এলাকায় অশান্তি তৈরি করতেই বিজেপি এই কাজ করেছে। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট মামলা রুজু হয়েছে। ঠিক কী হয়েছিল জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, কুঁয়াপুর পঞ্চায়েতের বালা এই এলাকাটি জনবহুল। সেখানে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের দু’ধারে শ’দেড়েক দলীয় পতাকা টাঙানো ছিল। ফ্লেক্স-ফেস্টুনে তৃণমূল সরকারের গত দশ বছরের উন্নয়নের প্রচার-বার্তা ছিল। কয়েকদিন আগেই দলের উদ্যোগে ঝাঁকরার মেঠানি গ্রামে মহাযজ্ঞ হয়েছিল। সেই সময় ওই রাস্তার ধারে মমতা ছাড়াও স্থানীয় বিধায়ক ছায়া দোলইয়ের কাট আউট লাগানো ছিল। সোমবার রাতে বিজেপির লোকজন সব পতাকা, ফেস্টুন, ফ্লেক্স খুলে জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে বালা গ্রামে পঞ্চায়েত অফিস ও বালা সমবায় অফিসের মাঝে সেগুলি পোড়ানো হয়। বালা বাজারের কাছেই ছিল স্থানীয় বিধায়কের বাতিস্তম্ভের প্রকল্পের স্থায়ী প্রচার স্তম্ভ। সেটিকেও ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে সব জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে। তৃণমূল কর্মীরা জড়ো হন। পৌঁছয় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশও। পুলিশের উপস্থিতিতেই তৃণমূল কর্মীরা ঘটনায় জড়িত বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়। দোষীদের চিহ্নিত করতে পঞ্চায়েত অফিসের সিসি ক্যামেরায় শনাক্ত করতে তৎপর হয় তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশ অবশ্য ক্যামেরার ফুটেজ় দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে আশ্বাস দেয়। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ বলেন, “দলের মহাযজ্ঞে ভিড় দেখে ভয় পেয়ে বিজেপি এ সব শুরু করেছে। পাশে কেউ নেই। তাই রাতের অন্ধকারে দলের পতাকা পুড়িয়ে এলাকার শান্তি নষ্ট করছে।” তৃণমূল বিধায়ক ছায়া দোলইয়ের হুঁশিয়ারি, “রাজনৈতিক ভাবেই ঘটনার মোকাবিলা করা হবে।” বিজেপির চন্দ্রকোনা দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি রাজীব পাল অবশ্য বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এসব হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ছবিতে সব প্রমাণ হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy