নন্দীগ্রামে আবার ভোট হবে, কাঁথিতে দাঁড়িয়ে দাবি অভিষেকের। — নিজস্ব ছবি।
নন্দীগ্রামে আবার ভোট হবে। সেখানে হারবেন ওই কেন্দ্রের অধুনা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়ির ঢিলছোড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কটাক্ষ করে শুভেন্দুকে ডাকলেন ‘আরএসি বিরোধী দলনেতা’ বলে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার’ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। কারণ হিসাবে বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে হেরেছেন আমার কাছে।’’ এ বার তারই পাল্টা ফিরিয়ে দিলেন অভিষেক। শুভেন্দুকে চিহ্নিত করলেন ‘আরএসি’ বিরোধী দলনেতা হিসাবে। (রেলের পরিভাষায় আরএসি হল ‘রিজার্ভেশন এগেনস্ট ক্যানসেলেশন’ অর্থাৎ কোনও ‘কনফার্ম’ টিকিট বাতিল হলে সেই জায়গায় নতুন টিকিট দেওয়া।) কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘লিখে রাখুন, নন্দীগ্রামে আবার ভোট হবে।’’ তাঁর অভিযোগ, শুভেন্দু ভারতের একমাত্র বিধায়ক, যিনি ভোটে জিতেছেন না জেতেননি তা আদালতের বিচারাধীন। তাঁর কথায়, ‘‘উনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছেন। কথায় কথায় বলেন, কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার বলার আগে উনি নিজে যে আরএসি বিরোধী দলনেতা, সেটা তো নিজেকে বুঝতে হবে। হাই কোর্টে মামলা চলছে, তার মধ্যে উনি সুপ্রিম কোর্টে দৌড়লেন। দাবি, মামলা সরিয়ে যেন অন্য একটা রাজ্যের হাই কোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়। সুপ্রিম কোর্টে ওঁর দু’গালে দু’টো থাপ্পড় মেরেছে। তুমি চুরি না করে থাকলে তোমার এত ভয় কিসের? লোডশেডিং করে জিততে হয়েছিল, তাই না!’’ এর পরেই অভিষেক বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে ফ্রেশ ভোট হবে। ইলেকশন বাতিল হবে। আপনি আমার কথা লিখে রাখুন। নন্দীগ্রামের মানুষ আবার জবাব দেবে।’’
এখানেই শেষ নয়, এই প্রসঙ্গেই ফের শুভেন্দুকে বিঁধেছেন অভিষেক। এ বার তাঁর হাতিয়ার, বিধানসভা পরবর্তী পুরভোটে কাঁথি শহরে বিজেপির ফল। অভিষেক বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে মানুষ রায় দিয়ে ২১৫টা আসনে জিতিয়েছে। আর তুমি নিজের বুথে হারো, নিজের পাড়ায় হারো, নিজের ওয়ার্ডে হারো! লোডশেডিং করে কাউন্টিংয়ে এ দিক ও দিক করে জিততে হয়। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করে, বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে অপমান করে, তাঁদের আবার জবাব দেওয়ার সময় চলে এসেছে। এক বার জবাব আমরা দিয়েছি। কিন্তু ২০২৩-এর পঞ্চায়েত এবং ২০২৪-এর লোকসভায় আপনাদের জবাব দিতে হবে। বেইমানমুক্ত পূর্ব মেদিনীপুর গড়তে আপনাদের নামতে হবে।’’
শনিবার অভিষেকের সভামঞ্চেই তৃণমূলে যোগ দেন ভূমি উচ্ছেদ আন্দোলনের নেতা তথা বিজেপির সবুজ প্রধান। তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার লড়াই ছিল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। তাঁর দুর্নীতি, স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে। যত রকম অভিযোগ হয়, সব ওঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। এখন তাঁকে নিয়েই বিজেপি নাচছে। সে কারণেই আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’’ সবুজের যোগ দেওয়ার দিনেই নন্দীগ্রামে নতুন করে ভোটের কথা শোনা গেল সেই দলেরই শীর্ষনেতার মুখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy