চন্দ্রকোনা রোডের কলেজে ছাত্রীদের হাতাহাতি। নিজস্ব চিত্র
চন্দ্রকোনা রোড ও বেলদা: লোকসভা ভোটের পরে জেলায় বিজেপির সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সংগঠন তৈরি করেছে গেরুয়া ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। মাঝে মধ্যেই মিলছে ছাত্র সংঘর্ষের খবর। বুধবার টিএমসিপি-এবিভিপি গোলমালে তেতে উঠেছিল চন্দ্রকোনা রোডের গৌরব গুঁইন মেমোরিয়াল কলেজে। তার রেশ থাকল বৃহস্পতিবারও। এ দিনও দুই যুযুধান ছাত্র সংগঠনের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয় ওই কলেজে। পুলিশ আসে।
টিএমসিপি’র প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ হবে ২৮ অগস্ট কলকাতায়। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার টিএমসিপির কয়েকজন নেতা কলেজে এসে সেই সমাবেশের প্রচার করেন। এবিভিপি অভিযোগ করে, বহিরাগতদের কলেজে নিয়ে এসে বিশৃঙ্খলা করছে টিএমসিপি। এ দিন তার প্রতিবাদে কলেজ গেটে প্রতিবাদ সভা করে এবিভিপি। সেই সভা চলাকালীন এবিভিপি ও টিএমসিপির ছাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এবিভিপির জেলা সভাপতি স্বরূপ মাইতির অভিযোগ, ‘‘এ দিন আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছিল। হঠাৎই টিএমসিপি সমর্থক ছাত্রীরা এসে প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করে।’’ টিএমসিপি'র জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, এবিভিপি বহিরাগত নিয়ে এসে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকি দিয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন হাজরাকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য জ্ঞানেঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘‘এ দিনের ঘটনা নিয়ে শনিবার আমরা পরিচালন সমিতির সভা ডেকেছি। তবে কলেজে কোনওমতেই বহিরাগত প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।’’ বেলদা কলেজের অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র মণ্ডলকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
বৃহস্পতিবারই বেলদা কলেজেও টিএমসিপি-এবিভিপি সংষর্ষ হয়। সেখানে দুই সংগঠনের চার জন আহত হয়েছেন। তাঁদের বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেলদা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা। এবিভিপির অভিযোগ, ক্যাম্পাসে তাদের পতাকা লাগাতে বাধা দিয়েছি টিএমসিপি। আরএসএসের ছাত্র সংগঠনের নারায়ণগড় নগর ইউনিটের সভাপতি সায়ন রাউতের অভিযোগ, ‘‘কলেজে পতাকা লাগাতে গেলেই গোলমাল হয়। আমরা কাউকে মারধর করিনি। টিএমসিপির সমর্থকেরা আমাদের মেরে তারপর মার খাওয়ার অভিনয় করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’’ টিএমসিপির জেলা সহ সভাপতি মনোজ দেবের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ক্যাম্পাসে কোনও ছাত্র সংগঠনের পতাকা থাকবে না। তারপরেও এ দিন এবিভিপি তাদের পতাকা লাগাতে এসেছিল। তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। বেলদা কলেজের অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র মণ্ডলকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy