কেশপুরে পথ অবরোধ তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র।
ভোট মিটে যাওয়ার পরেও উত্তপ্ত রইল কেশপুরের পরিস্থতি। শুক্রবার কেশপুর থানা এলাকায় প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল। মৃত তৃণমূল নেতা উত্তম দলুইয়ের দেহ রাস্তায় রেখে পথ অবরোধ শুরু করেন শাসকদলের কর্মীরা। কেশপুরের নেড়াদেউলে এই অবরোধের জেরে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
দ্বিতীয় দফার ভোটের আগের দিন অর্থাৎ বুধবার রাতে কেশপুর ব্লকের ৪ নম্বর অঞ্চলের দাদপুর গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি-র বিরুদ্ধে। ভোটের কাজ শেষ করে উত্তম যখন খাচ্ছিলেন, তখন বাড়ি থেকে তাঁকে বের করে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তমকে প্রথমে কেশপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয়েছে ৩১ বছরের উত্তমের। ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার উত্তমের দেহ পৌঁছয় কেশপুর ব্লকে। দেহ পৌঁছনোর পরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে। নেড়াদেউল এলাকায় রাস্তার উপর দেহ রেখে তৃণমূলের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এ ব্যাপারে তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা বলেছেন, ‘‘এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট করার চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি। আমাদের এক নেতাকে খুন করেছে। বুথ এজেন্টকে মারধর করেছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’’
অন্য দিকে বিজেপির প্রার্থী প্রীতিশকুমার কুঁয়ার বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের লোকেরা এলাকায় সন্ত্রাস করেছে। আমার গাড়িও ভাঙচুর করেছে। নিজেদের অন্তর্কলহে তৃণমূলের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। ওরা সেই মৃত্যু দেখিয়ে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, মৃত্যুর ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy