Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Haldia

Haldia fire: হলদিয়ায় অগ্নিদগ্ধদের অনেকেই সঙ্কটজনক, দুর্ঘটনার তদন্ত দাবি করল শ্রমিক সংগঠন

মঙ্গলবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে হলদিয়া তৈল শোধনাগারে। সেই ঘটনায় ঝলসে মৃত্যু হয় তিন শ্রমিকের। আহত হয়েছেন আরও ৪৪ জন শ্রমিক।

হলদিয়া তেল শোধনাগারের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের। নিজস্ব চিত্র।

হলদিয়া তেল শোধনাগারের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৪৬
Share: Save:

হলদিয়া তেল শোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ৪৪ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৭ জনকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের অনেকেরই শরীরের ৪০-৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, আহতদের অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অক্সিজেন নিতে সমস্যা হচ্ছে তাঁদের। আহতদের শরীরে রাসায়নিক ঢুকে যাওয়ায় ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে আরও জানানো হয়েছে, আহতদের ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। অন্য দিকে, হলদিয়ায় সাত জন এবং তমলুকে তিন জনকে ভর্তি করানো হয়েছে।

কার গাফিলতিতে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে বুধবার সকালে কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। সংগঠনের নেতা মিন্টু সামন্ত বলেন, “যে সব শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব নিতে হবে হলদিয়া রিফাইনারিকে।” তাঁর আরও দাবি, মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ও তাঁদের পরিবারের এক জনকে স্থায়ী চাকরি দিতে হবে। পাশাপাশি, আহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে হলদিয়া তৈল শোধনাগার কর্তৃপক্ষকে।

কারখানার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ, এই সমস্ত দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বুধবার সকালে দেখা করতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু কারখানার সামনেই তাদের আটকে দেয় সিআইএসএফ-এর জওয়ানরা। এর পরই গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় শ্রমিক সংগঠন।

মঙ্গলবার দুপুরে এমএসকিউ টাওয়ারে শাটডাউন সংক্রান্ত কাজ চলার সময় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে হলদিয়া তৈল শোধনাগারে। সেই ঘটনায় ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তিন শ্রমিকের। আহত হয়েছেন আরও ৪৪ জন শ্রমিক।

অন্য বিষয়গুলি:

Haldia Fire Oil Refinery
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE