প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের থেকে ধান কেনার কাজে গতি আনতে অতিরিক্ত স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্র (সিপিসি) খোলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম (ইসিএসসি)। সোমবার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম বা ইসিএসসি-র বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নতুন বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মোট ৭১টি কেন্দ্র বা সিপিসি চালু করা হবে। সেই কেন্দ্রগুলি থেকেই দ্রুত কৃষকদের থেকে ধান কেনা হবে।
খাদ্য দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, মোট ৭১টি সিপিসি কেন্দ্র তৈরির কথা বলা হলেও, ইতিমধ্যে ৩৬টি চালু হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলি খোলার চেষ্টা করতে হবে আগামী জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে। পাশাপাশি নিগম-সহ কয়েকটি সরকারি সংস্থা মূলত গ্রামের কৃষি সমবায় সংস্থাগুলির মাধ্যমে অস্থায়ী শিবির খুলে ধান কেনার কাজ চালাবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেও গ্রামে গিয়ে ধান কেনা হবে বলেই জানিয়েছে নিগম। তবে কোন এলাকায় অস্থায়ী শিবির খোলা হবে তা জেলা প্রশাসন এবং ব্লক আধিকারিকরা ঠিক করবেন।
নিগমের পক্ষে জানানো হয়েছে, সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে কেবলমাত্র ৭১টি কেন্দ্র গড়েই চুপ করে বসে থাকতে রাজি নয় নিগম। ধান কেনার চাপ বাড়লে দ্রুত যাতে বিকল্প ব্যবস্থা করা যায়, সেই পরিকাঠামো তৈরি রাখা হচ্ছে। তাই বেশি সংখ্যক কৃষক ধান কিনতে এলে আরও ১৫০টি কেন্দ্র চালানো হবে বলেও প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। এতে কৃষকদের ভিড় সামলাতে সুবিধা হবে। চাষিদের অপেক্ষার সময় ও হয়রানি কম হবে। কেন্দ্রগুলিতে ধান বিক্রি করার আরও সুবিধা হল, এখানে প্রতি কুইন্টালে নির্ধারিত ১৯৪০ টাকার সঙ্গে ২০ টাকা অতিরিক্ত বোনাস পাবেন কৃষকরা। নিগম এখনও পর্যন্ত ৭০ হাজার টন ধান কিনেছে বলে সূত্রের খবর। নিগমের ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে ১২ লক্ষ টন। কিন্তু এখন সম্ভব হলে তার থেকে বেশি কিনতে চাইছে নিগম।
এ বারই প্রথম নিগম এত সংখ্যক স্থায়ী কেন্দ্র গড়ে কৃষকদের থেকে ধান কিনছে সরকার। এতদিন খাদ্য দফতরের অধীনে ধান কেনা চলত। নতুন এই সব পদ্ধতিতে ধান কেনায় ফড়েদের দূরে সরিয়ে প্রকৃত চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার ব্যাপারে বিশেষ নজরদারি চালানো যাচ্ছে। নিগমের আধিকারিকরা ক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। ফড়েদের মাধ্যমে ধান বিক্রির চেষ্টা হলে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy