ছেঁড়া হয়েছে পোস্টার। —নিজস্ব চিত্র।
কাটমানি প্রসঙ্গে মেদিনীপুর পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর মৌ রায় সরাসরি মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মৌয়ের বক্তব্য ছিল, ‘দিদি’র বক্তব্যে তাঁর মতো সৎ মানুষদের বিপদে পড়তে হচ্ছে।
দিন কয়েক আগে ঝাড়গ্রামের দলীয় নেতাদের নিয়ে কলকাতায় বৈঠকে বসছিলেন মমতা। তৃণমূল সূত্রের খবর, সেখানে তিনি নেতা, কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, কাটমানি নিয়ে কেউ যদি অন্যায় কিছু করে তবে তার প্রতিবাদ করতে হবে। এ বার সেই প্রতিবাদের পথে ফিরল তৃণমূল। কাটমানি নিয়ে বিজেপির দেওয়া পোস্টার ছিঁড়ে দিল তারা।
চন্দ্রকোনার মনোহরপুর-১ পঞ্চয়েত। ক’দিন আগেই কাটমানির অভিযোগ তুলে এলাকায় পোস্টার সেঁটেছিল বিজেপির যুব মোর্চা। সোমবার সকালে প্রকাশ্যেই সেই পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল যে এ বার প্রতিবাদের পথেই হাঁটবে তা স্পষ্ট চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দোলইয়ের কথায়। তিনি বলেন, “ওরা (বিজেপি) পোস্টার মেরেছিল। আমাদের কর্মীরা তা তুলে ফেলে দিয়েছে। যা হয়েছে ঠিকই করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক সহ সভাপতি তরুণ দে বলেন, “গ্রামবাসীদের মনের কথা,অভিযোগই তুলে ধরা হয়েছিল। ভয়ে তৃণমূল সেই সব পোস্টার ছিঁড়ে নষ্ট করে দিয়েছে।’’ কাটমানি নিয়ে তৃণমূলকে চাপে রাখতে বিজেপি যে চেষ্টার কোনও কসুর করবে না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তরুণ। তাঁর কথায়, ‘‘ দলের যুব সংগঠন কোনও ভাবেই এমনটা মনে নেবে না। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।’’
সূত্রের খবর, দিন দুয়েক আগে চন্দ্রকোনা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সূর্য দোলই, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সুকুমার পাত্র সহ ব্লকের মনোহরপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকার ১৯ জন নেতা-কর্মীর নামে পোস্টার পড়েছিল। সেখানে আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজ সহ সরকারি নানা প্রকল্প থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ছিল। পঞ্চায়েত অফিস সহ স্থানীয় গাংচা কেলেমি, হীরাদরপুর, মনোহরপুর, খামারবেড়া সহ বিভিন্ন গ্রামে পোস্টার ফেলেছিল বিজেপি। একদিন পরই সোমবার সেই সব পোস্টারের একাংশ ছিঁড়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy