Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বড় ব্যবধানে জয় আসছে, সাতসকালে নিশ্চিত তৃণমূল

কথায় বলে, দিনের শুরুটাই বলে দেয় দীন কেমন যাবে। জয় নিয়ে যে তাঁরা নিঃসংশয় তা বোঝা গিয়েছিল বৃহস্পতিবার সাতসকালেই। ৮ নাগাদ গণনা শুরুর মুহূর্ত থেকেই নিজের কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে গণনা কেন্দ্রে চলে এসেছিলেন তৃণমুল প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

গড়রক্ষা:  দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর বিপুল জয়ের পর সাংবাদিকদের সামনে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও সাংসদ দিেব্যন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

গড়রক্ষা: দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর বিপুল জয়ের পর সাংবাদিকদের সামনে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও সাংসদ দিেব্যন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৪৯
Share: Save:

কথায় বলে, দিনের শুরুটাই বলে দেয় দীন কেমন যাবে।

জয় নিয়ে যে তাঁরা নিঃসংশয় তা বোঝা গিয়েছিল বৃহস্পতিবার সাতসকালেই। ৮ নাগাদ গণনা শুরুর মুহূর্ত থেকেই নিজের কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে গণনা কেন্দ্রে চলে এসেছিলেন তৃণমুল প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সব টেবিলে তৃণমুলের কাউন্টিং এজেন্টরা পৌঁছে গিয়েছিলেন। আর যাঁদের গড়ে উপ-নির্বাচনের পরীক্ষা, তৃণমূলের সেই অধিকারী বাড়ির দুই ছেলে দিব্যেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারীও সকাল থেকেই গণনা কেন্দ্রের বাইরে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে হাজির ছিলেন। এরপর মাইকে একের পর একটা রাউন্ডের ফল ঘোষণা হয়েছে, আর উল্লাসে ফেটে পড়েছে তৃণমূল শিবির।

উল্টো দিকে বিরোধী শিবিরে সকাল থেকেই হতাশার ছবি ছিল স্পষ্ট। বাম, কংগ্রেস, বিজেপি— কেউই সব টেবিলে কাউন্টিং এজেন্ট দিতে পারেনি। প্রচুর ভোট বাড়িয়ে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেও পদ্মের প্রার্থী সৌরীন্দ্রমোহন জানা আট রাউন্ড গণনার পরই কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। গণনার কাজ কিছুটা এগোনোর পরে এসেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী নবকুমার নন্দ। তিনিও কিছুক্ষণ থেকে চলে যান। তবে বাম প্রার্থী উত্তম প্রধান প্রায় শেষ পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রে ছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে বা গণনা কেন্দ্রের বাইরে কর্মী-সমর্থকের ভিড় ছিল না।

দক্ষিণ কাঁথিতে ২০১৬-র ভোটে দিব্যেন্দু প্রায় ৩৪ হাজার ভোটে জিতে ছিলেন। উপ-নির্বাচনে চন্দ্রিমা সেই মার্জিন আরও বাড়িয়ে নিয়ে করেছেন ৪২ হাজারেরও বেশি। বিরাট এই জয় উদ্‌যাপনের ছবি তাই এ দিন তৃণমূল শিবিরে আগাগোড়া দেখা গিয়েছে। কাঁথিতে ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও। ‘অধিকারী গড়ে’ ফের তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বড় নেতা এনে শুধু বক্তৃতা করলে আর দিঘা বেড়িয়ে চলে গেলে হয় না। সারা বছর মানুষের পাশে থাকতে হবে।’’ এ ক্ষেত্রে বিজেপিকে বিঁধেছেন শুভেন্দু। তবে বৃহস্পতিবার দিনের শেষে গেরুয়া শিবিরেও খুশির হাওয়া। উপ-নির্বাচনে প্রায় ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসাটাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছেন নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি মলয় সিংহ বলছেন, ‘‘সংগঠন একটু মজবুত থাকলে ফল অন্য রকম হত।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE