Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

গ্রামে খাটিয়ায় শ্রীকান্ত, নালিশ শুনলেন ছায়া

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো গ্রামে গিয়ে খাটিয়ায় বসে মানুষের সুখ-দুঃখ জেনেছেন আরেক বিধায়ক  শ্রীকান্ত মাহাতো। লিখে নিয়েছেন দাবিদাওয়া।

খাটিয়া বসে কথা বলছেন বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র

খাটিয়া বসে কথা বলছেন বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দ্রকোনা ও গোয়ালতোড় শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ০১:০২
Share: Save:

দ্বিতীয় দফার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে নেমে পড়লেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দোলই। সোমবার মনোহরপুর ১ পঞ্চায়েতের কামারগেড়িয়ায় গিয়ে চার জনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। গ্রামেও ঘোরেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো গ্রামে গিয়ে খাটিয়ায় বসে মানুষের সুখ-দুঃখ জেনেছেন আরেক বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। লিখে নিয়েছেন দাবিদাওয়া।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় কামারগেড়িয়া গ্রামে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের অফিস থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া চার গ্রামবাসীর নাম ও ঠিকানা। সেই চার জনের মধ্যে আশিস পাখিরার বাড়িতে যান তিনি। সেখানেই তালিকায় নাম থাকা নকুল পাত্র, রবীন্দ্র দোলই ও খোকন ঘোষ নামে আরও তিন জনকে ডেকে নেন বিধায়ক। ওই চারজনই এলাকায় পুরনো তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে আপাতত তাঁরা দলে সক্রিয় ছিলেন না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের ক্ষোভ জানান ওই চার জন। তবে বৈঠক শেষে তাঁদের নিয়েই গ্রামে ঘোরেন বিধায়ক।

সোমবার সকাল থেকেই আকাশে মেঘ ছিল। মাঝে মাঝে বৃষ্টিও হচ্ছিল। তার মধ্যেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করেন ছায়া। বৃষ্টির সময়ে মাঝে মাঝে দলীয় কর্মীর বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। এ দিন শুধু কামারগেড়িয়া নয়, একবালপুর, হীরাধরপুর গ্রামেও যান তিনি। গ্রামের আধিকাংশ রাস্তায় মাটির। বিধায়ককে কাছে পেয়ে গ্রামের মহিরারা ঢালাই রাস্তার দাবি জানান। কেউ কেউ এলাকার নালা-খালের উপরে স্থায়ী সেতু তৈরি, পানীয় জলের বন্দোবস্তের আর্জি জানান। ছায়া এ দিন একবালপুরের দৃষ্টিহীন যুবক শুকদেব পাথর ও দুর্ঘটনায় আহত দলীয় কর্মী নেপাল রায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। দ্বিতীয় দফায় বিধায়ককে দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শুনতে হয়েছে। অনেকেই সরকারি কাজে দুর্নীতির নালিশ করেন। কর্মীদের একাংশ বিধায়ককে জানান, এলাকার নেতাদের খারাপ ব্যবহারের জন্যই কামারগেড়িয়ায় মাথা তুলেছে বিজেপি।

এ দিন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন বাউরির বাড়িতে খাওয়া সারেন তিনি। বিকালে ফের পাড়ায় পাড়ায় ঘোরেন। সন্ধ্যার পরে গ্রাম ছাড়েন তিনি। ছায়ার কথায়, “এলাকায় আরও উন্নয়ন করতে হবে। আবারও একদিন আসব। তখন রাত কাটাব। যা দেখলাম রাজ্য নেতৃত্বকে লিখিত ভাবে জানাব।”

শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোও এ দিন জনসংযোগে বেরিয়েছিলেন। গোয়ালতোড়ের বিরপাথরি গ্রামে গিয়ে দড়ির খাটিয়ায় বসে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি, অভাব-অভিযোগ শোনেন। পরে গ্রামের আটচালায় বসেও গল্প করেন বিধায়ক। গ্রাম ঘুরে শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘কিছু উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী। সরকারি প্রকল্পে ঘর, ভাতা দেওয়ার আবেদন করেছেন অনেকে। দাবি দাওয়া সব খাতায় লিখে নিয়েছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC MLA Didi Ke Bolo Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy