—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েতে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামের দুই ব্লকে ভাল ফল করেছে গেরুয়া শিবির। অধিকাংশ পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি গিয়েছে তাদের দখলে। খানিকটা কোণঠাসা তৃণমূল। কিন্তু এক সময় যে নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন ঘিরে রাজ্য সরকারে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল, এখন সেখানেরই একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে তাদের সমর্থনে সবক’টি আসনে প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল!
স্থানীয় সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে প্রিয়া নগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড। আগামী ২১ জানুয়ারি এই সমবায়ের পরিচালক মণ্ডলী সদস্য নির্বাচন রয়েছে। সমবায়ে মোট ভোটার ৬৬০ জন। আসন ১২টি। যার মধ্যে তিনটি আসন সংরক্ষিত। বুধবার ছিল নির্বাচনের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়া শেষ দিন।দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের সমর্থিত প্রার্থীরা ১০টি আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিজেপি তরফে ১২টি আসনে মনোনয়ন জমা পড়েছে। আর বামেরা চারটি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। একটি আসনে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। এ ব্যাপারে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলছেন, ‘‘তৃণমূলের সংগঠন এতটাই নড়বড় হয়ে গিয়েছে যে, বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতেই পারছে না। রাজ্যে শাসক দল হয়েও সমবায় সমিতিতে প্রার্থী দিতে পারল না ওরা। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, মানুষ কতটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তৃণমূলের থেকে।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রিয়া নগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের জন্মলগ্ন থেকেই পরিচালক মণ্ডলী সদস্যর জন্য কোনও নির্বাচন হয়নি। সদস্যদের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করেই পরিচালন কমিটি তৈরি হত বলে খবর। ২০২৩ সালে মেয়াদ শেষ হয় ওই কমিটির। সে সময় থেকে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছিল সমিতির পরিচালনা করার জন্য। এবার প্রথম নির্বাচন হচ্ছে। তাতে রাজ্যে শাসকদল হয়েও সমবায়ে তৃণমূল কেন দুটি আসনে মনোনয়ন জমা দিতে পারল না, সেই নিয়ে এলাকায় জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৩৭০০ ভোটে পিছিয়েছিল। এর পরে হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। তাতে নন্দীগ্রামের দুই ব্লকের ১৭টি পঞ্চােতের মধ্যে ১১টি গিয়েছে বিজেপির দখলে। দুই পঞ্চায়েত সমিতিও হয়েছে বিজেপির। স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে নন্দীগ্রামের সবকটি বুথে দলীয় পতাকাও তুলতে পারেনি তৃণমূল।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সম্মুখ সমরে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। সমবায় সমিতির নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষিত এবং তফসিলি সংরক্ষিত আসনের জন্য বহু চেষ্টা করার পরও নিজেদের পক্ষে কোনও প্রার্থী জোগাড় হয়নি বলে তৃণমূলের কর্মীদের একাংশের দাবি। সে কথা স্বীকার করে নিয়ে তৃণমূলের হরিপুর অঞ্চল সভাপতি স্বপন ভূঁইয়া বলেন, ‘‘ওই দুই আসনে লড়াই করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। কোনও প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলেই মনোনয়ন জমা দিতে পারিনি। এটা সাংগঠনিক দুর্বলতাও বলতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy