নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরে আসার পরেই কেশপুরে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ১৪ নম্বর অঞ্চলের মানতা গ্রামে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। সাইদুল রহমান নামে আহত ওই বিজেপি কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা।
সাইদুলের স্ত্রী সায়মা বিবি বলেন, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে বাড়ি ছাড়া ছিলেন তাঁর স্বামী। পুলিশের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাতে ফিরে এসেছিলেন তিনি। তার পর শুক্রবার রাতে তাঁকে তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে মারধর করেন জো়ড়াফুল শিবিরের কর্মীরা। সাইদুলের মাথায় ও পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। ওই গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, সাইদুলকে মারধর করার খবর পেয়েই তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কেশপুরে তো এই গণ্ডগোল আজকের নয়। বহুদিন ধরেই চলেছে। আজ বিজেপি রুখে দাঁড়িয়েছে বলে বিজেপিকে নিশানা করা হয়েছে। সাড়ে চার হাজার মানুষ ঘর ছাড়া ছিলেন। এখনও প্রায় হাজার মানুষ ঘর ছাড়া। তাঁরা বাইরে আছেন। ঘরে ফিরে আসলেই অত্যাচার হচ্ছে। পুলিশের কোনও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।’’
পাল্টা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘ওই ঘটনার সঙ্গে কোন ভাবেই তৃণমূল জড়িত নয়। সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো একটি সংস্থাকে ব্যবহার করছে।’’ জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ওই ঘটনার তদন্ত চলছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy